Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • নভেম্বর ২৫, ২০২৩

প্রযুক্তিগত ত্রুটি, থমকে গেছে কাজ ।আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রলম্বিত হল সময়

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্রযুক্তিগত ত্রুটি, থমকে গেছে কাজ ।আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রলম্বিত হল সময়

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ বিপর্যয় থেকে ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের কাজ আবার ব্যাহত হয়েছে। বিকল্প হিসেবে উলম্ব টুর্পূণ ব্যবহার করে সুড়ঙ্গে আটকে থাকাদের কাছে পৌঁছতে চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রাউন্ডপেনিট্রেশন রাডার বা জিপিআর পরীক্ষা সবসময় চূড়ান্ত ভাবে সফল হয় না কারণ এই রাডার বহুরগর্ভস্থ পথের মধ্যে ছোট বস্তুর উপস্থিতি সনাক্ত করতে পারে না।
তদন্তকারী প্যানেলের এক সদস্য জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ড সুড়ঙ্গের কোনও জরুরি প্রস্থান ছিল না, এটা ভূতাত্ত্বিক ত্রুটি, এভাবেই সুড়ঙ্গটি নির্মিত হয়েছিল।

উদ্ধার অভিযানের জন্য রাজ্য সরকার কর্তৃক নিযুক্ত নোডাল অফিসার নীরজ খয়েরওয়াল, সিনিয়র আইএএস অফিসার জানিয়েছেন,  “জিপিআরের রিপোর্টে দেখা গেছে যে ধ্বংসাবশেষে পরবর্তী ৫.৪ তথ্যে মিটারে কোনও ধাতব বাধা নেই।” এই বিষয়টিকে সদর্থক মনে করছেন উদ্ধারকারীরা।

উদ্ধারকারী দলের তরফে জানান হয়েছে, অগার মেশিন ব্যবহার করে পাইপ ভূগর্ভে প্রবেশ কোরান হবে। অন্য একজন আধিকারিক বলেছেন যে “অগার মেশিনের ভূমিকা এখন আর ড্রিলিং করার জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে না। উদ্ধারকারী দলের কর্মীদের দ্বারা জায়গাটি পরিষ্কার করার পরে অগার মেশিন পাইপগুলিকে ধ্বংসস্তূপে ঠেলে প্রবেশ করাবার জন্য ব্যবহার করা হবে।” তিনি আরও বলেছিলেন যে মিশ্র পদ্ধতি অবলম্বন করার কারণে, আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে আরও ১৫ থেকে ১৮ ঘন্টা, তবে এটা  নির্ভর করছে উদ্ধারকারী দলটি কত দ্রুত ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করেছে তার উপর।

উদ্ধারকারী দলগুল টানেলের উপরে একটি উল্লম্ব ড্রিল মেশিন এবং ওই মেশিনের অংশগুলি স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। উদ্ধারের বেশ কয়েকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর, এখন উদ্ধারকারী দলগুল আটকে থাকা শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য উল্লম্ব ড্রিলিং পদ্ধতিকে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে  ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। শীঘ্রই ধসে পড়া সুড়ঙ্গের অবশিষ্ট অংশের জন্য “ম্যানুয়াল কাটার” ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপ সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ ধসে পড়া অংশের অবশিষ্ট ১০% উদ্ধারকারী কর্মীরা হাতে ব্যবহৃত যন্ত্রের সাহায্যে পরিষ্কার করতে ১৮ থেকে ২৪ ঘন্টা সময় লাগবে। উদ্ধারকারী দলের তরফে জানান হয়েছে, “শ্রমিকদের প্যাসেজের ভেতরে যেতে হবে, ধ্বংসস্তূপ সরাতে হবে।” তাই এখনও অনিশ্চিত কখন, কবে ৪১ জন শ্রমিককে ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা সম্ভব হবে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!