- স্মৃ | তি | প | ট
- মে ২০, ২০২২
একুশের গানে অমর থাকবেন বহুমুখী স্রষ্টা
রাষ্ট্রপূঞ্জ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত সেই গান বিশ্বের ২৫টি ভাষায় অনূদিত হয়

বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের স্মরণীয় দিন ১৯ মের সকালে প্রয়াত হলেন ৫২র ভাষাযোদ্ধা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ।
পূর্ব পাকিস্তানে, ৫০ এর দশকে সাংবাদিকতা দিয়েই কর্ম জীবনের শুরু । প্রাত্যহিক রাজনৈতিক কলামে, সাহিত্যে, গান রচনার মধ্য দিয়ে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বরাবর সরব ছিলেন, আজীবন অপোষহীন বহুমাত্রিক এই কলমচি । ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে, পাকবাহিনীর গুলিতে রক্তস্নাত, সহযোদ্ধা রফিকউদ্দিন আহমেদের দেহ দেখেই গর্জে উঠেছিল তাঁর কলম। নিজেও ভয়ঙ্কর ভাবে আহত হয়েছিলেন । এরপর হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই রচনা করেছিলেন ২১ এর বিখ্যাত গান, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি….। ২০০২ সালে, রাষ্ট্রপূঞ্জ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত সেই গান বিশ্বের ২৫টি ভাষায় অনূদিত হয়।
১৯৭১এ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছিলেন কলকাতায় । সেইসময়, মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি নিয়মতি কলাম লিখতেন কলকাতার বিভিন্ন দৈনিকে । ১৯৭২ এ, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, দৈনিক জনপদ পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন । ১৯৭৪ সালে অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং সেখানেই স্থায়ী হন । পরবর্তীতে, বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে, বাংলাভাষায় প্রকাশিত পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন ।
তাঁর রচিত গুরুত্বপূর্ণ বই, চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান, সম্রাটের ছবি, ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা, বাঙালি না বাংলাদেশি । আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ।
বহুমুখী এই বাঙালি প্রতিভার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, ঢাকার বনানীতে, তার স্ত্রীর পাশেই সমাহিত করা হবে তাঁকে ।
❤ Support Us