Advertisement
  • বৈষয়িক
  • মার্চ ১৫, ২০২২

এখনও পিঁড়ির ওপর বসিয়ে কম খরচে চুল-দাঁড়ি কেটে দিচ্ছেন নাপিতরা।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
এখনও পিঁড়ির ওপর বসিয়ে  কম খরচে চুল-দাঁড়ি কেটে দিচ্ছেন নাপিতরা।

মাসখানেক যেতে না যেতেই তনিমার বছর পাঁচেকের ছেলের মাথা ঝাঁকড়া চুলে ভরে যায়। চুল কাটাতে নিয়ে গেলেই তনিমার বিরক্ত লাগে। সেলুনে লম্বা লাইন। তার ওপর। খরচটা অনেক বেশি। রামলালের—’চুল কাটাও’ হাঁক শুনলে তনিমা বেরিয়ে আসে। রামলালকে বাড়ির ভিতরে ডেকে নেয় তারপর ছেলের পছন্দের গাড়িতে বসিয়ে যত্ন সহকারে কাটিয়ে নেয় ছেলের চুল।

মল্লিকাদেবীর বছর সতেরোর স্পেশাল সন্তান, রিবু। রিবুকে কোন মতেই সেলুনে নিতে পারেন না মল্লিকাদেবী। দিনু নাপিতের উপর চোখ বুজে ভরসা রাখেন তিনি। দিনু রিবুর সঙ্গে গল্প করতে করতে নিমিষেই কাঁচি চালিয়ে সুন্দর করে ছেটে দেয় রিবুর চুল-দাঁড়ি।

আধুনিকতা ও ডিজিটালের ছোঁয়ায় অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটলেও হাট-বাজারে ও পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে চুল-দাড়ি কাটা নাপিতের কদর একটুও কমেনি। তাঁরা আজও ধরে রেখেছেন বাপ-দাদার পৈত্রিক পেশা। কম টাকায় ও যত্ন সহকারে চুল-দাড়ি কাটার সুযোগ পেয়ে গ্রামের লোকজন শুধু নয় তমিনা, মল্লকাদেবীর মতো শহুরে বাসীরাও এই সব নরসুন্দরদের উপর ভরসা রাখেন ।

রামলাল তো প্রায়ই বলেন, এটা তাঁদের তিন পুরুষের পেশা। তাঁর চারপাশে ঝা চকচকে সেলুন গজিয়ে উঠলেও তিনি এইভাবেই আগামীতে এগোবেন।

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!