Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • জানুয়ারি ৩০, ২০২৫

মাঝ আকাশে সেনা চপারের সঙ্গে সংঘর্ষ, ওয়াশিংটনে বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমান। মৃত অন্তত ১৮

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মাঝ আকাশে সেনা চপারের সঙ্গে সংঘর্ষ, ওয়াশিংটনে বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমান।  মৃত অন্তত  ১৮

দুর্ঘটনার জন্য সেনার চপারের উপরেই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘এই দুর্ঘটনাটি প্রতিরোধ করা যেত।’ সেনার চপারের উপরেই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, বিমান দেখে আগেই চপারের সরে যাওয়া উচিত ছিল।

আমেরিকায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। ওয়াশিংটন বিমানবন্দরের কাছে মাঝ আকাশে যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মার্কিন সেনার একটি হেলিকপ্টারের। কর্মী-সহ ৬৪ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ে পোটোম্যাক নদীতে। হতাহতের বিষয়ে সরকারীভাবে নিশ্চিত না করা গেলেও আমেরিকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ ও বিশেষ উদ্ধারকারী দল। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

জানা গিয়েছে, বুধবার আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ঈগল ফ্লাইট ৫৩৪২ ৬৪ জন যাত্রী এবং চার জন্য ক্রু সদস্য নিয়ে কানসাস থেকে ওয়াশিংটন ডিসি যাচ্ছিল। রাত ৯ টা নাগাদ বিমানটি রোনাল্ড রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরে নামছিল। নামার ঠিক আগের মুহূর্তেই পোটোম্যাক নদীর উপর আমেরিকা সেনার ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। যাত্রিবাহী বিমানটি ডান দিকে থেকে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারটি আসছিল। সেই সংঘর্ষের পরই মাঝ আকাশে আগুনের গোলা দেখা যায়। পরে জানা যায়, বিমানটি পোটোম্যাক নদীতে ভেঙে পড়েছে। তবে সেনার কপ্টারে তিন জনের কোনও খোঁজ মেলেনি।

এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিলেন পাশে থাকা আরেক বিমানের পাইলট। দুর্ঘটনা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় তিনিই প্রথম এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে সাবধান করেন। যার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এদিকে ওই পাইলট ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমি একটি আগুনের গোলা দেখলাম। তারপর চলে গেল।’ কেনেডি সেন্টারের কাছে থাকা একটি অবজারভেশন ক্যামেরাতেও এই ফায়ার বল বা আগুনের গোলা ধরা পড়ে। ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের দাবি, বিমান ও হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে আগুন লাগে। তারপরই বিমানটি নদীতে ভেঙে পড়ে।

এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেনার চপারের উপরেই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন। পাশাপাশি এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের দিকে আঙুল তুলে তাঁর দাবি, ‘পরিষ্কার আবহাওয়া ছিল। প্লেনের আলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। কেন হেলিকপ্টারটি ওপর-নিচ করল না বা ঘুরে গেল না। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের তরফে কেন হেলিকপ্টারটিকে গাইড করা হল না।’ তিনি বলেছেন, ‘ কাজে গাফিলতি না হলে, এই দুর্ঘটনাটি প্রতিরোধ করা যেত।’

কানসাসের সেনেটর জেরি মর্গ্যান জানিয়েছেন, ‘কানসাস থেকে ওয়াশিংটনে আসছিল বিমানটি। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় সেটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। তার পরই বিমানবন্দর থেকে সমস্ত বিমানের ওঠানামা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিমানটিতে কর্মী-সহ ৬৪ জন যাত্রী ছিলেন।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!