Advertisement
  • দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩

উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনিই উপাচার্য। বোসের নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনিই উপাচার্য। বোসের নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত

এই মুহূর্তে রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। যতদিন না এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ হয় ততদিন আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসই উপাচার্য থাকবেন। বৃহস্পতিবার রাতে এই মর্মে রাজভবন থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পাচাপাশি ওই দিনই আচার্য রাজকুমার কোঠারিকে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছেন।
এই মুহূর্তে সাকুল্যে রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য কাজ চালাচ্ছেন।

রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘর্ষে নতুন মাত্রা যোগ করল।

বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যে ক’টিতে উপাচার্য পদ খালি রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের ডিগ্রি শংসাপত্র এবং অন্যান্য নথি পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁদের সহায়তার জন্য মাননীয় রাজ্যপাল আচার্য হিসাবে তার ক্ষমতাবলে নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিজেই উপাচার্যের  দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজভবনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় ডিগ্রির শংসাপত্র এবং অন্যান্য নথি সংগ্রহে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এই সমস্যা সমাধানেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।

রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, amnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com — এই মেল আইডিতে যে কোনও সমস্যার কথা জানাতে পারবেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি, একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। ০৩৩ ২২০০১৬৪২ নম্বরে ফোন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। চাইলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করতে পারবেন তাঁরা। পড়ুয়াদের সমস্যার কথা জানতে মাঝেমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল, এ কথাও জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট বলেন, “আমায় প্রশ্ন করে লাভ নেই। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু উপাচার্য নিয়োগ করেই নয়, উপাচার্য নিয়োগ না করেও এক ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। অবিলম্বে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ দরকার। আমরা আইনি সহয়তার নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি।”
তার পর বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যপাল তথা আচার্যের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!