- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- মে ১৯, ২০২৩
মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ, প্রথম দশে ১১৮ ।পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং

২০১৩ এর মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, এই বছর মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬. ১৫ শতাংশ। ১৬ জেলা থেকে প্রথম দশে রয়েছেন ১১৮ জন।
তফসিলি উপজাতি পরীক্ষার্থীদের পাশের হার ৭৬ শতাংশ।
জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
এ বছরের মাধ্যমিকের রেজাল্টে কিউআর কোড থাকছে।রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষায় ইতিবাচক পদক্ষেপের ছাপ এই ফলে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আজ দুপুর ১২টা থেকে রেজাল্ট দেখা যাবে পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে।
পর্ষদের ওয়েবসাইট হল: www.wbbse.wb.gov.in বা http://wbresults.nic.in ।
এই সাইট থেকে বেলা ১২ টায় পরীক্ষার্থীরা রোল নম্বর-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিলেই ফল দেখতে পাবে। ফল ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউটও নিতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।
এবারও মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলা থেকেই প্রথম হয়েছেন দেবদত্তা মাঝি। সে কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরাণী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রা সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। অর্থাৎ ৯৯.৫৭ শতাংশ নম্বর সো পেয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছে শুভম পাল ও ফিরহাত হাসান সরকার। তাদের প্রাপ্ত নম্নর ৬৯১। সারভার ইমতিয়াজ, সৌম্যজিৎ মল্লিক, অর্ক মণ্ডল ৬৯০ পয়ে একসঙ্গে তৃতীয় হয়েছেন এবারের মাধ্যমিকে।
প্রথম দশে রয়েছে ১১৮ জন। মালদা থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক পড়ুয়া মেধাতালিকায় আছেন। এবারের মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ। ১৩.৩৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পেয়েছেন ৬০ শতাংশ বা তার বেশি।
পর্ষদ সভাপতি জানান, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন ৬ লাখ ৯৭ হাজার ২১২ জন। তবে পরীক্ষা দিয়েছেন ৬ লাখ ৮২ হাজার ৩২১ জন। এবারে ছেলে পরীক্ষার্থীদের থেকে মেয়েদের সংখ্যা ২২ শতাংশ বেশি ছিল।
এবারের পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৮ জন পরীক্ষার্থী।এ বছরের মাধ্যমিকে ফেল করেছে ১ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী।
গতবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাশে হার ছিল সর্বোচ্চ – ৯৭.৬৩ শতাংশ। এরপরই তালিকায় ছিল কালিম্পং – ৯৪.৭১ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুর – ৯৪.৬২ শতাংশ। তালিকায় চার নম্বরে ছিল কলকাতা। শহরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাশের হার ছিল ৯৪.৩৬ শতাংশ। এরপরই তালিকায় ছিল ঝাড়গ্রাম, ৯২.০৭ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনা, ৯১.৯৮ শতাং এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৮৯.৬৮ শতাংশ।
মাধ্যমিকের এই ফলে ধারাবাহিক ভাবে জেলার এগিয়ে থাকার পিছনে রাজ্য সরকারের শিক্ষার প্রতি সদর্থক কার্যকলাপ কাজ করছে। শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে সরকার কন্যাশ্রী সহ শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালাচ্ছে। পড়ুয়াদের স্কুল ড্রেস, বই, জুতো স্কুল থেকেই দেওয়া হচ্ছে।মিড ডে মিল চালু হয়েছে স্কুলে স্কুলে। প্রান্তিক শ্রেণির পড়ুয়াদের শিক্ষাঙ্গণপ আনার জন্য রাজ্য সরাকারের এই কাজগুলি উল্লেখের দাবি রাখে। সরকারের স্কুল শিক্ষায় এই সদর্থক কাজের ফলে পরিস্থিতিটা এমন হয়েছে এখন শুধু পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে চাইলে এবং নিজেরা পড়াশুনা করলেই হয়ে যায়, বাকি দায়িত্ব সরকারের। আর শিক্ষায় রাজ্য সরকারের এই সদর্থক ও ইতিবাচক ভাবনা চিন্তার নীট ফলই হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা অর্থাৎ একজন পড়ুয়ার বা পরীক্ষার্থীর জীবনের প্রথম সবচেয়ে বড় পরীক্ষার ফলে এই সাফল্য৷
এছাড়াও গ্রামের মানুষের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ, অংশগ্রহণ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মানুষ বুঝতে পারছে শিক্ষায় অগ্রগতি না হলে কখনই সমাজের মূলস্রোতে পৌঁছন যাবে না বা যায় না। আর গ্রামের মানুষদের এই ভাবনার পিছনে অর্থাৎ তাদের এই ভাবনায় ভাবিত হতে সরকারের স্কুল শিক্ষায় ইতিবাচক, শিক্ষাী জন্য উন্নয়নমুখী প্রকল্প সর্বোপরি শিক্ষায় সুশাসন বড় ভূমিকা নিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাধ্যমিকে প্রথম দশজনের সঙ্গে নিজে সাক্ষাৎ করছেন, তাদের পুরস্কৃত করছেন নিজের হাতে, এতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আরও ভালো করে পড়াশুনা করার আগ্রহকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রত্যেকেই ভাবছে, সেও মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিতে পারে । সেই লক্ষেই সেই ছাত্র বা ছাত্রী পড়াশুনা করছে। স্কুল শিক্ষায় রাজ্য সরকারের এই সার্বিক উন্নয়নমূখী কার্যকলাপ আজ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই বিপুল হারে সাফল্যের পিছনে কাজ করেছে। আর সরকারের এই উদ্যোগের সঙ্গে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের সদিচ্ছা, যে আমার ছেলে, আমার মেয়ে পড়বে, মাধ্যমিকে ভালো ফল করবে এই ভাবনাটাও কাজ করেছে।
❤ Support Us