- প্রচ্ছদ রচনা
- জুন ২৩, ২০২২
৪ শিশু-সহ আরও ১২ জনের মৃত্যু, ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে অসমে মৃত শতাধিক, নিখোঁজ বহু । ৫৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিপর্যস্ত ।

অসমে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত । বন্যা পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও প্রাণহানির ঘটনা ঘটল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। ৪ শিশু-সহ আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে অসমে বন্যা পরিস্থিতি ও ধসের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০০ ।
জানা গিয়েছে, হোজাই জেলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। কামরূপে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। বরপেটা, নলবাড়িতে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ৫৪.৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিপর্যস্ত । ৩২টি জেলার চার হাজার ৯৪১টি গ্রাম বিধ্বস্ত । বেশ কয়েকজন নিখোঁজ বলে খবর।জেলা প্রশাসনের তরফে মোট ৮৪৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ১০২৫টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২.৭১ লাখেরও বেশি মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতিতে ৯৯ হাজার ২৬ হেক্টরেরও বেশি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কপিলি, ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্লাবন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নগাঁওতে যান হিমন্ত। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
গতকাল চিরাং জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দমকল ও জরুরি পরিষেবার কর্মীরা কাজ শুরু করে । বাজালি, বাকসা, বারপেটা, বিশ্বনাথ বোহ্গাইগাঁও, কাছাড়, চিরাং, দররাং, ধোমাজি, ধুবরি, ডিব্রুগড় , ডিমা-হাসাও, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, হাইলাকান্দি। হোজাই, কামরূপ মেট্রোপলিটন, কার্বি আংলং পশ্চিম, করিমগঞ্জ, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাঁও, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর, দক্ষিণ সালমারা, তামুলপুর, তিনসুকিয়া এবং উদালগুড়ি, জেলাগুলি বন্যায় জলের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।প্রত্যন্ত বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনীর সাতটি কম্পোজিট কলাম দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।কেন্দ্রীয় নৌপরিবহন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেয়াল নগাঁও জেলার কপিলি ব্লকের ফুলাগুড়ি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ম একটি ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে, একটি কেন্দ্রীয় দল শীঘ্রই রাজ্যে যাবে ক্ষতির মূল্যায়ন করবে। পরে তা সরকাররে কাছে জমা দেওয়া হবে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে বন্যার জলে মোট ২৩৩টি শিবিরের অন্তত ২৬টি প্লাবিত হয়েছে এবং ১১ টি প্রাণী ডুবে মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
❤ Support Us