‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে স্বাধীন করবে মোদি সরকার,’ আশাবাদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে স্বাধীন করবে মোদি সরকার। এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট সংসদে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকে তিন বছর হতে চলল জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। এখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব সরাসরি কেন্দ্রের হাতে। এইবার নতুন লক্ষ্য পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মোদি সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা।

ইতিমধ্যে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে তৈরি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে নানান প্রতিক্রিয়ার সূত্রপাত হয়েছে। এই ছবির প্রশংসা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বহু নাগরিক সেরকম বহু বিরোধী নেতা এই ছবির কটাক্ষ করেছেন। এবং বিভিন্ন অভিযোগও তুলেছেন। এই বিতর্কের পরিবেশের মধ্যেই এই ছবি নিয়ে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি বলেছেন, ‘সংসদ ১৯৯৪ সালে একটি প্রস্তাব পাশ করেছিল। সেখানে জোর দেওয়া হয়েছিল যে, পাকিস্তানের বেআইনিভাবে দখল করে রাখা জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ খালি করে দেওয়া উচিত।’রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় মহারাজা গুলাব সিংয়ের ২০ ফুট উচ্চতার মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি সাংবাদিক মুখোমুখি হয়ে এই বক্তব্য রাখেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছিলেন,  বিজেপি তার প্রতিশ্রুতি মেনেই ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করেছে। যদিও বহু মানুষই এই পদক্ষেপ কল্পনা করতে পারেননি। যেরকম ১৯৮০ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী বিজেপির জন্য দেশে বিপুল ভোটে জয়ের আন্দাজ করেছিলেন। সেই জয়ও মানুষের কাছে কল্পনাতীত ছিল।নরেন্দ্র মোদির জমানায় সমস্ত মানুষদের কাছে করা সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে। এমনকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্বাধীনতাও পূরণ হবে।’

প্রসঙ্গত, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে স্বাধীন করার ঘোষণা বিজেপির তরফে এই প্রথম নয়। বিজেপির তরফে একাধিক নেতা-মন্ত্রী পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কথা তুলেছেন। এর আগে বিজেপির এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল পাতিল জানিয়েছিলেন যে, আশা করা যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এবং সেই কাজ একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পক্ষেই সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন সেই বিজেপি নেতা।