Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ১০, ২০২৩

দেবীপক্ষের সূচনাতে ঘরের বাইরে পা রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দেবীপক্ষের সূচনাতে ঘরের বাইরে পা রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী

সবকিছু ঠিক থাকলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবীপক্ষের সূচনায় অর্থাৎ মহালয়ার দিন বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্পেন ও দুবাই সফর সেরে সন্ধ্যায় রাজ্যে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরের দিন তিনি এসএসকেএম-এ যান। তাঁর পায়ের চিকিৎসার জন্য। ওইদিন তাঁর পায়ের এমআরআই হয়। স্পেনেও মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট লাগে। আর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ার জন্য সেবকে জরুরি হেলিকপ্টার অবতরণের পর হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পায়ে চোট পান। সেই পুরোনো ব্যথায় আবার বিদেশ সফরে গিয়ে তাঁর আঘাত লাগে। চিকিৎসকরা ২৪ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেন, হাঁটাচলা করতে নিষেধ করেন। তার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী গৃহবন্দী। ১৪ অক্টোবর তিনি বাড়ির বাইরে পা রাখলে সেটা হবে ২০ দিন পর তাঁর বাড়ির বাইরে বার হওয়া।

মহালয়ায় তৃণমূলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে নজরুল মঞ্চে। সেই সংখ্যা উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের দৈনিক মুখপত্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের যে বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে, তাতে দুপুর আড়াইটের সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, উদ্বোধনের জন্য মমতা সময় দিয়েছেন ওইদিন বেলা ৩টেয়। এখন প্রশ্ন, সেই উদ্বোধন কি মমতা নজরুল মঞ্চে পৌঁছে করবেন? না কি কালীঘাটের বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন সারবেন? কৌতূহলের আরও কারণ, ১২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাড়িতেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে মমতা মহালয়ার দিনই ঘরবন্দি দশা কাটিয়ে বাইরে বেরোতে চান মুখ্যমন্ত্রী। নজরুল মঞ্চে পৌঁছে মুখপত্রের মলাট খুলে তাঁর শারদ কর্মসূচি শুরু করবেন দিদি। অন্তত তাঁর তেমনই ইচ্ছা।

যদিও সম্পূর্ণ বিষয়টাই নির্ভর করছে চিকিৎসকদের ওপর। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে সশরীরেই নজরুল মঞ্চে যাবেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী এখন অনেকটাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। অনেকের মতে, সোমবার রাতে রাজভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করার সময়েই অভিষেক বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, দলের সর্বময় নেত্রী সেরে উঠছেন দ্রুত। অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘৩১ অক্টোবরের মধ্যে যদি কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার বকেয়া অর্থ না দেয়, তাহলে ১ নভেম্বর থেকে ফের আন্দোলনে নামবে তৃণমূল। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

সাধারণত শারদোৎসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার প্রচুর পুজোর উদ্বোধন করেন। একেক বার উদ্বোধনের এতটাই চাপ থাকে যে, মহালয়ার আগেই তা শুরু করে দিতে হয়। তবে এ বার পায়ের সমস্যার কারণে সেটা করছেন না তৃণমূলনেত্রী। গত কয়েক বছর ধরেই সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রচুর পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে মহালয়ার দিন তিনি বাড়ির বাইরে বেরোলে কলকাতার কিছু বড় বড় পুজো উদ্বোধনেও যাবেন বলেই অনুমান দলের শীর্ষনেতাদের। যদিও মঙ্গলবার পর্যন্ত সুজিত বসু, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, কোনও নেতা বা মন্ত্রীর পুজো উদ্বোধনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী সময় দেননি বলেই খবর। তাহলে কে চেতলা অগ্রণীর দেবীপ্রতিমার চোখ আঁকবেন? সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজো কে উদ্বোধন করবেন? এই প্রশ্নও সামনে আসছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!