- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ১৩, ২০২৩
মণ্ডপে গিয়ে নয়, প্রযুক্তির সাহায্য এবারও চেতলা অগ্রণীর দেবীমূর্তির চোখ আঁকবেন মুখ্যমন্ত্রী

দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম সেরা পুজোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে চেতলা অগ্রণীর দূর্গা পুজো। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পুজো বলেই পরিচিত চেতলা অগ্রণী দূর্গা পুজো। মন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই ফিরহাদ হাকিম এই পুজো করে আসছেন। তবে মন্ত্রী হওয়ার পর ফিরহাদ হাকিমের পুজো কলেবরে বেড়েছে। প্রতি বছর এখানকার প্রতিমার চোখ আঁকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তিনিই প্রতিমার চোখ আঁকবেন। তবে পায়ের সমস্যার জন্য চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে না গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী দুর্গামূর্তির চোখ আঁকবেন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে। চেতলা অগ্রণীর এক পুজো উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, প্রতিমার মুখমণ্ডলের ছবি তুলে ক্যানভাসে সেই মুখোমণ্ডলটি পাঠানো হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই মুখোমণ্ডলটি দেখে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিমার চোখ এঁকে পাঠাবেন সমমাপে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আঁকা চোখ দেখেই প্রতিমা শিল্পী আসল দূর্গা মূর্তির চোখ আঁকবেন। এই কাজটি শুনতে যত সোজা, বাস্তবে বিষয়টি বেশ কঠিন বলে জানিয়েছেন শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রথা মেনেই প্রতি বছরের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই চক্ষুদান হবে চেতলা অগ্রণীর মাতৃমূর্তির।
চেতলা অগ্রণীর দূর্গা পুজোর ২০২৩-এর ভাবনা “যে যেখানে দাঁড়িয়ে”। শ্রেণি বৈষম্যকে নির্ভর করেই চেতলা অগ্রণীর মণ্ডপ নির্মাণ করছেন শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার এই পুজোর সঙ্গে বরাবরই জড়িয়ে সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কাজ প্রায় শেষ। দেবীমূর্তির চক্ষুদানের অংশই শুধু বাকি। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সেই কাজ প্রযুক্তি নির্ভর করে শেষ হলেই শিল্পী প্রতিমার চোখ আঁকবেন। তার পরই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই পুজো মণ্ডপ। এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
❤ Support Us