- ধা | রা | বা | হি | ক
- মে ৮, ২০২২
বিন্তির ন্যাড়া মাথা ও উজানের কই
পর্ব ১

অলঙ্করণ: দেব সরকার
ব।ড়ো।গ।ল্প
এ ক
প্রথম দৃশ্য
একটি লোক বৃষ্টি মাথায় হাঁটছে, কাদার মধ্যে থপথপিয়ে হাটার কথা কিন্তু সে পা টিপে টিপে চলছে, মাঝে মাঝেই বজ্র বিদ্যুতের মধ্যে পথ চিনে নিচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে আবার উদয় হচ্ছে, খুব একটা লম্বা নয়, লুঙিটা আধখানি উঠিয়ে পরা, থুতনির নিচে হোচি মিনের মতো কিংবা আরও কম দাড়ি। উৎকণ্ঠায় পিছন ফিরে তাকাচ্ছে, অনেক দূরে এক নম্বর লাইট হাউসের আলো জ্বলছে, আর সে কার সঙ্গে যেন কথা বলছে একা একা। নাকি নিজের সঙ্গেই কোনও বোঝাপড়া সেরে নিচ্ছে, একটা বড়ো জামের মতো জোঁক টেনে বের করল পা থেকে। ডানদিকে ঝোপঝাড়ের দিকে ফেলতে গিয়ে কী জানি কি মনে হওয়ায় বাঁদিকের জলে ফেলে দেয়, চপাস শব্দ করে সমুদ্র গিলে নেয় জামজোঁক। বিরক্তিতে ডানদিকের ঝোপে তাকিয়ে বলে,
— রাঙ্গামাটি কখন পৌঁছব? হাঁটতে হাঁটতেই তো রক্ত শেষ।
হয়তো জোঁকের কামড়ের কথা মনে করে একা একাই কথা বলে। গলার স্বর পালটে জবাবও ফিরে আসে অন্ধকার ঝোপের ভিতর থেকে।
— চুপ। কথা নয় একদম, মামুর হাতে পড়লে গুলি খেয়ে মরতে হবেবলেদিলাম।
— ইস। এতো সোজা নয় জয়নালকে মেরে ফেলা। আমার নানা একা একডজন লেড়া মামুকে মন্দিরে ঢুকে মেরেছে।
— মন্দির নারে বেটা,বল মহামুনির মন্দির।
— জানি জানি তোমরা প্যাগোডাও বল।
— আচ্ছা ঠিক আছে মহাবীরের নাতি। এখন বল লাল গুল্লির বাক্স ভিজে নি তো?
— জ্বি না, সে উপায় নাই, আমার বুকে পিঠে প্লাস্টিক বাঁধা আছে। শুধু লাল গুলি না, গোলাপি খয়েরিও আছে, কইয়াংয়ের মাল।
দ্বিতীয় দৃশ্য
এবার পরিষ্কার হয় দৃশ্য, একটা নদীর দেখা মেলে। গাছপালা উধাও, অন্ধকারও ক্রমশ আলোকিত হয়। নদীর জলে শিমূল তুলোর খোলের মতো কিছু একটা ভাসছে, কাছে আসতে বুঝা যায় নৌকো। ওর জন্যই অপেক্ষা করছিল, হোচিমিন দাড়ির জয়নাল উঠতেই নৌকো ছেড়ে দেয়। অন্ধকারের সঙ্গী মানুষটিও আঁধারে মিলিয়ে যায়।
জয়নাল এক নজরে নৌকোর আরোহীদের দেখে। একদিকে কয়েকজন গরিব মানুষ, অন্যদিকে কিছু মধ্যবিত্ত নারী পুরুষ ও শিশু। সবার মুখেই আতঙ্কের ছাপ। কেউই একেঅন্যের সঙ্গে কথা বলছেনা, নৌকো এখনও মায়নামারের নদী সীমানায় রয়েছে। গর্ভবতী যুবতিটিও সন্ত্রস্ত হয়ে সঙ্গী থেকে দূরে রয়েছে। আট বছরের ছেলেটির কোনও ভয়ডর নেই, দুর্যোগও আতঙ্কের রাতেও স্কুলে ভর্তি হওয়ার আনন্দ। বলছে, আব্বা, আমরা কোথায় যাচ্ছি? রাঙামাটি না চট্টগ্রাম? আব্বা ছেলেটিরমুখে হাত চাপা দেয়। মাঝখানে বসা যন্ত্রণাকাতর বৃদ্ধা পরমেশ্বর আল্লার সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছে অনবরত। আর একটি মেয়ে, যথেষ্ট সুন্দরী তাই রূপ ঢাকতে সাদা রঙের প্রলেপ লাগিয়েছে সারা মুখে। মেয়েটি গলুইয়ে বসে পাশে দাঁড়ানো ছেলেটিকে দেখছে। ওরাও যাচ্ছে বিয়ে করতে মহেশখালি কিংবা বান্দারবন। জয়নাল সবার সব নাড়ি নক্ষত্র জানে। গরিব দুটো পরিবার ছাড়া কেউই যাবে না লেদা ক্যাম্পে, এরা সবাই বর্ধিষ্ণু মধ্যবিত্ত। সবখানে কিয়াট খাওয়ানো আছে,তাই ওদের নিরাপত্তাও আছে। টাকা দেওয়া আছেওপারের জন্য। তার উপর ইয়াবাওয়ালাদের সঙ্গে গেলে এপারে ওপারে দুপারেই নিরাপদ। ইয়াবাচক্রে রাখাইন রোহিঙ্গা ভাই ভাই। ওপারে বাংলাদেশে কিছুটা কড়াকড়ি আছে তাই বান্দরবন এমপির হেফাজতে চলে গেলে আর ভয় নেই। কবরের নীরবতার মধ্যে যদিও একমাত্র জয়নাল এর ওর সঙ্গে কথা বলছে, জয়নাল একটু বেশি ডাকাবুকো। ঝড়ের দাপটে নৌকো মাঝনদী থেকে ছিটকে চলে আসে এদিকে, উত্তাল আফালের তাণ্ডবে এ ওর গায়ে গড়িয়ে পড়ে। নৌকো দুলে, নৌকোর মাঝখান থেকে সরাসরি দূরের দিকে তাকায় সে। জয়নাল দেখে একটি আলোর বিন্দু, মানে ভয়ের বার্তা। ভাবতে সময় পায় না, কাউকে সতর্কও করতে পারে না, নৌকো ভর্তি অসহায় মানুষের উপর মুহূর্তে আছড়ে পড়ে হলুদ আগুণের গোলা। মুহূর্তে সবাই সন্ত্রস্ত, জয়নাল শুধু আট বছরের ছেলেটি আর সুন্দরী মেয়েটিকে ফেলে দেয় জলে আর সেও উধাও হয়ে যায় টালমাটাল জলস্রোতে।
ধুর, আবার গ্রামীণ ফোনের বিজ্ঞাপন বিরতি,আবার বিন্তির ন্যাড়া মাথা।
দেবেশচন্দ্র হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। বিজ্ঞাপন বিরতি পর্যন্ত একটা টানটান উত্তেজনা ছিল ছবিটায়, কিন্তু এরকম একটা কিছু যে ঘটতে যাচ্ছে তার একটা আভাসও পেয়েছিলেন, জয়নালের চরিত্রে সাজ্জাদের অভিনয়ই এমন একটা পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে। অসাধারণ এক রহস্যময় চরিত্র সৃষ্টি করেছেন পরিচালক এফ এম হোসেন বিজু। বাংলাদেশের বর্তমান দুই জ্বলন্ত সমস্যা মায়ানমারের ইয়াবাবড়ির নেশায় আচ্ছন্ন যুবসমাজ আর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রাণ হাতে নিয়ে বর্মা থেকে ধর্মদেশ বাংলায় অভিনিষ্ক্রমণের করুণ কথা। তবে ওরা তো আতঙ্কিত শরণার্থী, ভারতেও ঢুকে পড়ছে। তবে বিরতির পর নিশ্চয় আছে নতুন কোনো মোড়, কিন্তু আর দেখার ইচ্ছে নেই তাঁর। বেড়াতে বেরিয়ে এসব মন খারাপের ভিতর ঢুকে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। হোটেলের প্রশস্ত বারান্দায় এসে সিগারেট ধরাতে গিয়েও প্যাকেটটা পাঞ্জাবির পকেটেই রেখে দেন আলতো। কারণ এদিকে যে এক অভাবনীয় সুন্দর অপেক্ষা করে আছে তার জন্য, হাত বাড়ালেই ধরা যায় সুন্দরকে আকাশের গায়ে।অষ্টমীকলার এক চাঁদ আর তার মায়াবি আলোর মুখোমুখি আর এক বিগত পঞ্চাশ সুন্দর দর্শনে বিহ্বল তিনি ছুঁইছুঁই ষাট। সুমিতা নীরবে পাশের চেয়ারটা দেখিয়ে দেন, যেন বলছেন, বসো চুপচাপ, শব্দকরোনা। দেখে যাও লাবণ্যে পূর্ণ আকাশ আর নদীর চোখাচোখি। সমাচ্ছন্ন দেবেশচন্দ্র স্ত্রীর কাঁধে হাত ছোঁয়াতেই হইহই করে সংশপ্তক বাহিনী তাঁকে ঘিরে ধরে গঙ্গাধর তীরের দোতলা বারান্দায়।
— ইস কাকু, বেড়াতে এসে আমরা বাংলাদেশি টিভি নাটকে কেন এমন মশগুল হয়ে গেলাম বলো তো? কতকিছু দেখার আছে গোলকগঞ্জে।
দেবেশ চন্দ্র হাসলেন ফকফকা জ্যোৎস্নায় মায়াময় চাঁদের দিকে তাকিয়ে। কথক মৃন্ময়কে উদ্দেশ্য করে বললেন,
— গোলকগঞ্জে আর কী দেখার আছে বল? এইহয়তো পরিষ্কার আকাশ,এরপরইআবার মেঘ বৃষ্টির তুমুল ঝড়ি। রাস্তাঘাট প্যাচপ্যাচে, বরং হোটেলের এমন সুন্দর একটা বারান্দা না থাকলে নদীআর আকাশের সুন্দর দেখা হতো নাআমাদের।সীমান্ত বাণিজ্যকেন্দ্রও শুনেছি সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যায়। আর মন্দকীবলো, বাংলাদেশ টিভি তো এমনিতে দেখাই হয় না। ছবিটা কিন্তু দারুন, অনেক নাম শুনেছি।
– নাবলছি , নিজেরা আড্ডা দিতে পারতাম?
— আজকাল আর নির্ভেজাল আড্ডাও হয় না। তোমরা তো সবাই মোবাইল নিয়ে বসে পড়বে।
বাসবী যেন ছোঁ মেরে কথাটা লুফে নেয়। বলে,
— ঠিক বলেছেন দাদা, এই নিয়ে একটা মজার চুটকি শুনিয়েছে মিঠু সেদিন।
কথার মাঝখানে উৎকণ্ঠিত মৃন্ময় দেবেশচন্দ্রকে নদীর পার থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। রুমের ভিতর টেনে নিয়ে বলে,
— নলিনীদি ওরা কোথায় গেল, জানেন কিছু? ওরা ডেকে আনল আমাদের আরওরাই নেই।
দেবেশ চন্দ্র হাসিমুখে সামাল দেন, বলেন,
— নো চিন্তা কাকাসাহেব, ওরা আজ আসতে পারবে না জানিয়েছে। বেড়াতে এসেছযখন ফুর্তি কর। ওদের কথা ভাবতে হবে না।
তেত্রিশ বছরের মৃন্ময় বয়স্কদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ, ওর উৎসাহে ভরসা করেই তো আসামের এই পাড়াগাঁয়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা। মৃন্ময়ের সঙ্গেও দেবেশচন্দ্রের পরিচয় বেশিদিনের নয়, ফেব্রুয়ারিতে দুবছর হবে। কোচবিহার পশ্চিমের একমাত্র ম্যারেজ রেজিস্টার তাঁর স্ত্রী সুমিতা বর্মণ ভট্টাচার্য। এক অভিনব বিবাহ বাসরে উপস্থিত ছিলেন তারা, সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল, কুশণ্ডিকা লাজহোম সপ্তপদী পানিগ্রহণ ধৃতিহোম ও চতুর্থী হোম, অতিথি আপ্যায়ন টোপর মালাবদল শুভদৃষ্টি নক্ষত্র দর্শনএকদিকে গোঁড়া সিলেটি ব্রাহ্মণ দেবেশচন্দ্রের তত্ত্বাবধানে, আর একদিকে কবিতা পাঠআর গানের আসর। মহিলা ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের স্বামী দেবেশচন্দ্র ভট্টাচার্য বিয়ের পুরোহিত একদিকে আবার বরের পিতৃবন্ধু হওয়ার সুবাদে কবিতার আসরেও জাঁকিয়ে বসেছেন। সুমিতাও সই সাবুদ শেষ করে একবার এদিকে স্ত্রী আচারে আবার ওদিকে সাহিত্যবাসরেও যোগ দিয়েছেন। পাত্র মৃন্ময়ের পত্নী জুরি আসামের বাঙালি, শিলচরের সিলেটি কিন্তু অধুনা শিলিগুড়ির স্থায়ী বাসিন্দা। তেমনি মৃন্ময়রাও হাইলাকান্দি থেকে কোচবিহারের বাসিন্দা এখন।
বাসবীরও গানের দল আছে একটা, ধামাইল গানগাইতে গাইতে, নারী পুরুষ নাচের তালে পা ফেলতে থাকে ঘিরিঘিরি ঘিরিয়ে। বাসবী কবিতা লেখে গল্পও লেখে, আবৃত্তি করে। ওরা প্রায়ই ঘুরতে বেরোয়, ছোটো দল বেঁধে সুমিতার ইনোভায়। আর কবি সাহিত্যিক দেখলে একটা হামলে পড়ার ভাব আছে বাসবীর। সেবার কোচবিহার থেকে হাজারদুয়ারি মানে আলিবর্দি খাঁর সাম্রাজ্য দেখতে যাবে এরকম একটা কথা হয় মৃন্ময় জুরি বাসবী আর নলিনীর। নলিনী গল্প লেখে। বাসবী দেবেশচন্দ্র মৃন্ময়ের সামনা সামনি বলে দেয়, দেবেশদা চলুন না আমাদের সঙ্গে। কোচবিহারের মান্য কবি দেবেশচন্দ্রের কবিতা বেরোয় কবিতাআশ্রমেকবিসম্মেলনে।কচিকাঁচাদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারে অমত নেই দেবেশচন্দ্রের। বলেন,
— যেতে পারি, কিন্তু একা যাব না।
— হ্যাঁ হ্যাঁ বউদিও যাবেন। উনি থাকলে আমরা দু’জন সেফ।
এর মধ্যে মৃন্ময় প্রকাশ্যেই বিরক্তির স্বগতোক্তি করে,
— বাপের সঙ্গে পিকনিক?
দেবেশচন্দ্র ভুলেই গেছিলেন যে তিনি মৃন্ময়ের বাপের বন্ধু। যাননি তিনি সেবার। এবারের ব্যাপারটা আলাদা , এবার মৃন্ময় জুরি আর বাসবী দেবেশচন্দ্রের স্ত্রী সুমিতাকে একটি আইন বহির্ভূত কাজ করে দিতে অনুরোধ করে। আসামের গোলকগঞ্জ যেতে হবে নলিনীর বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে। পাত্র পাত্রী দুজনেই কোচবিহারের স্থায়ী বাসিন্দা, কিন্তু বর অদম্য রায়ের সময় নেই বিয়ে করার। পরিবার থেকেও বিয়ে দেবে না। বাঙালি ব্রাহ্মণ কন্যা নলিনীর সঙ্গে কামতাপুরী পাত্রর বিয়ে নিয়ে এখন একটু কেমতি হয়। তার উপর পাত্রর চাল নেই চুলো নেই। সে এক মানবাধিকার কর্মী, থাকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের গোলকগঞ্জে। এনআরসি নিয়ে আসামের স্থায়ী বাসিন্দার উপর যাতে হেনস্থা না হয় তাই গরিব অশিক্ষিত নাগরিকের নথিপত্র দেখে দেওয়ার, অকারণে তাড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অদম্য তার মামারবাড়ি গোলকগঞ্জকে বেছে নিয়েছে। সে নলিনীকে বিয়ে করতে খুব একটা উৎসাহীও নয়, আবার বন্ধুত্বে একসঙ্গে থাকতে বাধাও নেই। অদম্য বলে, ওসব কলেজের প্রেম, এতদিন টেনে নিলে চলে না। নলিনী জানে এসব অদম্যর মনের কথা নয়, কারণ এখন ধুবড়ি জেলায় অদম্যের খুব নামডাক। কী আশ্চর্য ব্যাপার নলিনীর সঙ্গে প্রেম ভালোবাসা হওয়ার পরই সে কামতাপুরি আন্দোলন থেকে সরে যায়, তা বলে আন্দোলন তাকে ছাড়ে না, প্রতিবেশি রাজ্যে আসামে বাঙালিদের উপর অত্যাচার দেখে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অদম্য জানে এ লড়াই অসম, সে জিততে পারবে না। সরকার, উগ্রজাতীয়তাবাদি একসংখ্যক জনতা, এমনকি মিডিয়া থেকে বিচার ব্যবস্থা পর্যন্ত সব বাঙালির বিপক্ষে। বাঙালিকে বিদেশি তকমা দিয়ে রাষ্ট্রহীন করতেই হবে। তাহলে যে সুরক্ষাহীন মৃত্যু ছাড়াকোনো গতি থাকবে না অসহায় নিম্নবর্গের বাঙালিদের।ইদানীং তো ডিভোটার, বিদেশি আর এনআরসির নোটিশ পেয়ে দিশাহীন বাঙালি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।কিংবা আবার চলো বলে ডেরাডাণ্ডা উঠিয়ে এগোচ্ছে আর পথ হারিয়ে হড়কেও যাচ্ছে। তবু এক্সোডাসের পুরনো নিয়মে দল বেঁধে অনিশ্চয়ের মুখে বেরিয়ে পড়ছে। বেশিক্ষণ কথা হয়নি দেবেশচন্দ্রের ছেলেটির সঙ্গে, কিন্তু একটু সময়ের পরিচয়েই মনে হয় সে বড়ো আপনজন, কারণ সকালে ওরা গোলকগঞ্জের একমাত্র হোটেলে এসে উঠার পরই অদম্য নলিনীকে নিয়ে বেরিয়ে গেছে। বলেছে, অনির্দেশ্য যাত্রা। নলিনী বলে গেছে, খুব তাড়াতাড়ি ফিরব দেবেশদা, ফিরে এসে গল্প শুনব আড্ডা দেব ধুমধাম।
ক্রমশ…
❤ Support Us