- স্মৃ | তি | প | ট
- মার্চ ২৫, ২০২৩
তথ্য প্রযুক্তির অন্যতম কারিগর, ইন্টেলের প্রতিষ্ঠাতা গর্ডন প্রয়াত
৯৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ইনটেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গর্ডন মুর। হাওয়াইয়ে নিজের বাসভবনে মৃত্যু হয়ছে স্বনামধন্য এই মানুষটির, যিনি প্রযুক্তি জগতের এক বিরাট মানুষ। ইনটেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেও কোনও পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই প্রযুক্তি জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন গর্ডন। একথা নিজেই বলতেন তিনি। যদিও লাভবান হয়েছে গোটা সেমি-কন্ডাকটার শিল্প।
১৯৬৮ সালে ইনটেল প্রতিষ্ঠার পর দশকের পর দশক ধরে সংস্থার জয়জয়কার। গর্ডনের আইডিয়ায় ইনটেল যে প্রসেসর চালু করেছিল, তা গোটা বিশ্বজুড়ে ৮০ শতাংশ পার্সোনাল কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়।
প্রযুক্তির বিজয়রথের চাকা দুর্বার গতিতে অগ্রসর হবে, এটা গর্ডন বুঝতে পেরেছিলেন ১৯৬৫ সালেই। সেইসময়ে একটি আর্টিকেলে সেকথা লিখেওছেন। পরবর্তী সময়ে প্রযুক্তি্ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে, আর এও প্রমাণিত হয়েছে গর্ডন একজন দ্রষ্টা ছিলেন।
১৯৬৫ সালে গর্ডন মুর লিখেছিলেন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে বিপুল উন্নতিসাধন হয়েছে, সেজন্য ধন্যবাদ। মোটে কয়েক বছর আগে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট আবিষ্কার হয়েছে। এরপর ট্রান্সজিস্টারে মাইক্রোচিপসের ব্যবহার প্রতিবছর দ্বিগুণ হারে বেড়ে চলেছে।
গর্ডন মুর এতটাই দূরদর্শী ছিলেন যে পার্সোনাল কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বিপ্লব আসবে সেকথা ঘোষণা করেছিলেন দু’দশক আগেই। অ্যাপেলের আই ফোন বাজারে আসার ৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে। গর্ডন বলেছিলেন, যতদিন যাবে ততই সস্তা হবে চিপ। ওঁর এই পূর্বাভাসও সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বিপ্লব হবে জানতেন। নিজে সেই বিপ্লবের সাক্ষী ছিলেন। অথচ ৮০ -এর দশকের শেষাশেষি পর্যন্ত গর্ডনের কোনও ব্যক্তিগত কম্পিউটার ছিল না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিকোতে জন্ম গর্ডন মুরের। লেখাপড়ায় তিনি ছিলেন খুবই ভালো। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ১৯৫৪ সালে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে পিএইডি করেন।
প্রযুক্তির জগতে ইনটেলের অবিশ্বাস্য সাফল্যের দাবিদার গর্ডন মুর। তাঁর নেতৃত্বেই গত ইনটেল ৮০ ও ৯০-এর দশকে ফুলেফেঁপে ওঠে।
❤ Support Us