Advertisement
  • ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র স্মৃ | তি | প | ট
  • এপ্রিল ২৬, ২০২৩

চলে গেলেন বেলাফন্টে, আমাদের জন্য রেখে গেলেন অনেক গান, প্রতিবাদের ভাষা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
চলে গেলেন বেলাফন্টে, আমাদের জন্য রেখে গেলেন অনেক গান, প্রতিবাদের ভাষা

হ্যারি বেলাফন্টে। মানুষের জন্য গান গেয়ে, মানুষের অধিকারের দাবিকে গানের মধ্যে তুলে ধরে, তিনি জাতিগত বাধার বেড়াজাল ভেঙ্গে এগিয়ে চলার স্বপ্ন গোটা বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন। একটা সময় সবাইকেই থামতে হয়।  ৯৬ বছর বয়সে বেলাফন্টের থামার সময় এলো। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হলেন ।

পঞ্চাশের দশকে তাঁর গান সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, যার রেশ এখনও রয়েছে। জাতিগত বিভেদের আগল ভেঙে এক মুক্তবিশ্বের প্রতিষ্ঠায় সারাজীবন লড়াই করেছেন হ্যারি বেলাফন্টে। আর এই লড়াইয়ে তাঁর হাতিয়ার ছিল গান, অভিনয়। আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যের বেড়াজাল  ভাঙতে নিজের গানকে মজবুত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন এই শিল্পী। নাগরিক আন্দোলন অন্যমাত্রা পেয়েছিল তাঁর সুরময় সৃষ্টিতে। একটা সময় যখন মার্কিন মুলুকে গায়ের রং নিয়ে বিভেদ মাথাচাড়া দিয়েছিল ব্যাপক হারে, কালো-চামড়ার মানুষদের দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল তখন সেই বৈষম্যের বেড়াজাল ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বেলাফন্টে।

ডে-ও (দ্য ব্যানানা বোট সং) এর মতো গ্লোবাল হিট পারফর্ম করার পাশাপাশি, অভিনয়ের জন্যও তিনি টনি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়াও অসংখ্য ফিচার ফিল্মে  অভিনয় করার জন্য তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন। বেলাফন্টে তাঁর জীবনের এই প্রলম্বিত যাত্রাপথে বিভিন্ন কারণে প্রতিবাদ করেছেন, যুদ্ধ করেছেন তাঁর সুরকে হাতিয়ার করে। তিনি কালো আমেরিকানদের নাগরিক অধিকার আনার জন্য ১৯৬০-এর দশকের অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। আফ্রিকায় দারিদ্র্য, বর্ণবৈষম্য এবং এইডসের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছেন তিনি।  কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো এবং ভেনিজুয়েলার হুগো শ্যাভেজের মতো বামপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সমর্থন করেছিলেন বেলাফন্টে। তিনি জানতেন সংগীত শুধু মনোরঞ্জনের মাধ্যম নয়, সংগীত মানুষের দাবি আদায়ের অন্যতম হাতিয়ার।

বেলাফন্টে ছিলেন কথা ও সুরের জাদুকর। তাই তিনি জামাইকান মেন্টো লোকগানের সঙ্গে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ক্যালিপসোর স্টাইলকে মিলিয়ে এক অনন্য সংগীত সৃষ্টি করেছিলেন। ‘Day-O’ (দ্য বানানা বোট সং)-এর পর একে একে ‘জামাইকা ফেয়ারওয়েল’ বা ‘ক্যালিপসো’-র মতো কালজয়ী অ্যালবাম তিনি শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন যা বিশ্ব সংগীতের অমূল্য সম্পদ হিসেবে থেকে যাবে। আমেরিকা, ইউরোপের গণ্ডি ছাড়িয়ে তাবড় এই  গান ঝড় তুলেছিল ভারতেও। তাঁর গানে এখনও বুঁদ হয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। পঞ্চাশের দশকে সবচেয়ে বেশি আয় করা কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পী ছিলেন বেলাফন্টে। ‘শেক শেক সেনোরা’, ‘ম্যাটিল্ডা’, ‘লিড ম্যান হোলার’,‘জাম্প ইন দ্য লাইন’-র মতো অজস্র গান হ্যারি বেলাফন্টে গেয়েছেন যা এক কথায় তাঁর ঐতিহাসিক সৃষ্টি বললেও অত্যুক্তি হয় না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!