Advertisement
  • Uncategorized এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ১৭, ২০২৩

আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় যুবকের রহস্য মৃত্যু নিয়ে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন নেই, জানাল হাইকোর্ট। পুলিশ কমিশনারকে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় যুবকের রহস্য মৃত্যু নিয়ে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন নেই, জানাল হাইকোর্ট। পুলিশ কমিশনারকে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ

আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় যুবকের রহস্য মৃত্যুর ঘটনার মামলায় এবার পদক্ষেপ করল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে নির্দেশ দিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির মরদেহ অবিলম্বে কলকাতা পুলিশ মর্গ থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

এদিকে মৃতের পরিবারের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আবেদনে এই মুহূর্তে সম্মতি দেয়নি হাই কোর্ট। মৃতের পরিবার এখনও এই মামলায় যুক্ত করা হয়নি। শুক্রবার আদালত জানিয়েছে পরিবার এই মামলায় যুক্ত হয়ে প্রশ্ন করতে পারবে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, পরিবারকে এ বিষয়ে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য আদালতে জমা দিতে হবে। তার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। অন্য দিকে, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। কলকাতা পুলিশের তরফে শুক্রবার হাই কোর্টে এই মামলার কেস ডায়েরি এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।

হাই কোর্ট শুক্রবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। ফুটেজ কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়েছে, সিডি বা অন্য কোনও ডিভাইসে ফুটেজ রেকর্ড করে রাখতে। তার শংসাপত্র নিতে হবে বলেও জানিয়ে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ বলেছে, ফুটেজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় পুলিশকেই নিতে হবে।

মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল শুক্রবার হাই কোর্টে সওয়াল করেত গিয়ে বলেন, “আমহার্স্ট থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হোক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক, প্রত্যেক থানায় সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক। সেই নির্দেশ মেনে ফুটেজ দেখানো হয়। সাধারণ মানুষকে এ ভাবে ফোন করে পুলিশ ডাকতে পারে না। তলব করা যেতে পারত। হঠাৎ ফোন করে ডাকা হয়।”

পরিবারের তরফে আইনজীবী অমৃতা পাণ্ডের আবেদন, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। রেলের হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা হোক। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “দ্বিতীয় বা তৃতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ তখনই দেওয়া হয়, যখন দেখা যায় যে দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু এখানে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমন উল্লেখ করা হয়নি। ব্রেন হেমারেজের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও অবৈধ পদক্ষেপ করেছে বলে আমরা মনে করছি না।”


  • Tags:
❤ Support Us
Advertisement
homepage block Mainul Hassan and Laxman Seth
Advertisement
homepage block Mainul Hassan and Laxman Seth
Advertisement
error: Content is protected !!