- ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
- নভেম্বর ১৫, ২০২১
‘লড়াই করে বাঁচা বাবাই শিখেয়েছেন’, সৌমিত্র প্রয়াণবার্ষিকীতে স্মৃতিচারণায় পৌলমী
দেখতে দেখেত একটা বছর হয়ে গেল, অপু শূন্য বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। ১৫ নভেম্বর, আজই তো সেই দিন ।যেদিন বাঙালি তাঁর প্রিয় অভিনেতা কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে হারালেন।তাঁর স্মৃতিচারণায় সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ভরে উঠছে একের পর এক পোস্টে। নানা কথা, নানা গল্প সবেতেই জড়িয়ে আছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের রাজপুত্র।
কন্যা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব পৌলমী বসু তাঁর নাটকের দল মুখোমুখির তরফ থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন, বাবা সবসময় বলতেন—‘কাজ করে যাও’… তাই কাজের মধ্যেই বাবাকে খুঁজে বেরাই । দিনের শেষে শূন্যতা আমায় গ্রাস করে। ‘গত এক বছরের মধ্যে শুধু বাবাকে হারাইনি, মাও তো চলে গেলেন কয়েকমাস ব্যবধানে! আমি এবং ভাই (সৌগত) দুজনের মা-বাবাকে হারিয়ে গভীর শূন্যতায় আচ্ছন্ন ।দুর্ঘটনার শেষ নেই। মা, বাবাকে নিয়ে একটু যে বসে ভাবব তার সময়ই পাইনি। ছেলে রণদীপ, মেয়ে মেখলার কোভিড হল, রণদীপের হল দুবার, একবার হাসপাতালেও ভর্তি করতে হল। কতটা ভয়ানক সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, সেটা আমি ছাড়া কেউ বুঝবে না। কিন্তু বাবার শিক্ষা ছিল লড়াই করেই বাঁচতে হবে। না, এটা কোনও রাজনীতির বুলি নয়, এটা বাবাও মেনে চলেছেন, আমিও মেনে চলি। আমার এখন শান্তির জায়গা একটাই কাজ, শুধু কাজ করে যাওয়া। এতো ঝড় ঝাপটা সামলেও নাটক করে গিয়েছি।
গতকাল বাবার লেখা দুটো নাটকে অভিনয় করলাম – এটাই তো তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো। বাবা দীর্ঘ জীবন বেঁচে ছিলেন, কিন্তু প্রায় আমৃত্যু কাজ করে গিয়েছেন। বলতেন, কোনও বাধার কাছে মাথা নীচু করবে না। লড়াই করে এগিয়ে যাবে। জীবনে হারজিৎ থাকবে, তাতে পিছিয়ে আসা না, হারলেও এগিয়ে যাবার চেষ্টায় যেন কোনও খামতি না থেকে। বাবার সেই কথা মনে রেখেই সংসারের সব ঝক্কি সামলে ও তাঁর অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য আমার।তাঁর নাটক নিয়মিত অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাবও। বাবার নামে একটা ট্রাস্ট তৈরির করার চেষ্টা করছি, দেখি কত দূর এগোতে পারি। চাইছি বাবার সব কাজ – লেখা, আঁকা ছবি, নাটক, ভাল সিনেমাগুলো সংরক্ষণের চেষ্টা করব। এটাও জানি অনেক বাধা আসবে, তবুও থামার পাত্রী আমি নই, লড়াই আমার থামবে না। বাবাও আমৃত্যু লড়াই করে গিয়েছেন, আমিও লড়ব।’
❤ Support Us