- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ১১, ২০২৩
“এ রাজ্যে বিচার পাইনি,তাই দিল্লি যাচ্ছি” , কামদুনি কাণ্ডে সুবিচারের আশায় দিল্লি পৌঁছলেন মৌসুমী-টুম্পা সহ ৯ জন

কামদুনিকাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ন্যায্য বিচারের দাবিতে দিল্লি রওনা দিলেন মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা, রয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। এদিন দুপুরেই দিল্লি পৌঁছে যান কামদুনির ৯ প্রতিবাদী। কামদুনিকাণ্ডে এবার সরাসরি রাজনীতি যুক্ত হয়ে গেল। ১০ বছর আগের কামদুনিকাণ্ডের সময় আজ যিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তিনি ছিলেন তৃণমূলে। শুভেন্দু অধিকারী টুম্পা-মৌসুমীকে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আর এই ঘটনায় বিজেপির প্রবেশ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শুভেন্দুকে বিঁধে বলেছেন,”কামদুনির ঘটনা যখন ঘটেছিল তখন তুমি তৃণমূলের এমপি, পরে রাজ্যের মন্ত্রী চিলি, তখন তোমার বিবেক কোথায় ছিল?”
বুধবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের উড়ানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে মৌসুমী দাবি করেন, বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করবেন তাঁরা। এছাড়া আইনি সহযোগিতায় প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁদের। তারপর পরবর্তী রণকৌশল স্থির হবে। মৌসুমীর দাবি, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ফাঁসি রদের রায়ের পর বিচারব্যবস্থার উপর থেকেই অনেকটাই আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাই সুপ্রিম কোর্টে হয়তো সুবিচার পাওয়া যাবে, সেই ক্ষীণ আশা নিয়েই দিল্লির উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁরা নিয়েছেন।
কামদুনিকাণ্ডের আর এক প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল বলেন , নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় বড় আইনজীবীর রাজ্য সরকার সাহায্য নিচ্ছে। তবে কামদুনি কাণ্ডের ক্ষেত্রে তেমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে হালকা চালে এই মামলা লড়া হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার গলাতেও এদিন একই সুর শোনা গেছে। রাজ্য সরকার কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গুরুত্ব দেয়নি বলেই অভিযোগ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আনসার আলি ও সইফুল আলির ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিযেছে। আর ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে। শুক্রবার এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের ঢেউ যে দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন মৌসুমী-টুম্পারা।
এদিকে রাজ্যের তরফে হাই কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসএলপি করেছে। তবে রাজ্যের এই পদক্ষেপে ভরসা নেই কামদুনির প্রতিবাদীদের। এই নিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের নেতারা অন্যায় করলে, তাদের সিবিআই,ইডি ডাকলে তারা আদালতে যায়। তৃণমূল এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করেছে। অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।” বিজেপির এই বক্তব্য খারিজ করে তৃণমূল নেত্রী শশী পাঞ্জা বলেন,”বিজেপি এই ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করছে। রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেছে।”
❤ Support Us