শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে তিন বছরের বদলে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম কি চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যে চালু হতে চলেছে? কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমেই কি এ বছর কলেজে ভর্তি শুরু হবে?
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সম্প্রতি জানিয়েছেন, এই দু’টি বিষয় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়নি। আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি এই বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। কারণ দু’টি বিধি চালুর ক্ষেত্রেই পরিকাঠামোগত বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের বিষয়টিও নজরে রাখা হচ্ছে। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ‘‘চার বছরের স্নাতকোত্তর পাঠক্রম এবং কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শেষ ধাপের আলোচনা এখনও বাকি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই সবটা জানাব।’’
এদিকে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ নিয়ে রাজ্যের অধ্যাপককুলের মনে চিন্তার মেঘ ঘনাচ্ছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে একটা বড় অংশ চাইছেন না এই নতুন পাঠক্রম অনুসারে চার বছরের স্নাতকস্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা রাজ্যে চালু হোক। তবে যদি রাজ্য সরকার কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ মেনে নেয় সে ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করার যেমন কিছু থাকবে না, তেমন দুশ্চিন্তারও সীমা থাকবে না।রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটা বড় অংশের এটাই বক্তব্য।
কেন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে চার বছরের স্নাতকস্তরের পাঠক্রম অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ মানতে চাইছেন না ?
চার বছরের স্নাতকস্তরের পাঠক্রম চালুর ক্ষেত্রে পরিকাঠামো একটা বড় সমস্যা বলে মনে করছেন কলেজের অধ্যাপকরা। তাঁদের মতে সব কলেজের পরিকাঠামো সমান নয়। কলকাতার প্রথমসারির কলেজের যা পরিকাঠামো সেটা রাজ্যের একটা প্রান্তিক কলেজ নেই। তাই স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএএইচডি এক সঙ্গে নতুন শিক্ষা নীতি অনুযায়ী রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হলে সেটা চূড়ান্ত সমস্যার সৃষ্টি করবে।
এই জাতীয় শিক্ষানীতি লেখাপড়াকে গুরুত্বহীন করে দেবে বলে মনে করছেন অনেকে। এই মুহূর্তে চার বছরের স্নাতকস্তরের পাঠক্রম চালু করলে ছাত্রদের পড়াশুনার প্রবণতা কমে যাবে। কারণ এই পাঠক্রমে পড়তে পড়তে কোনও পড়ুয়া যদি মনে করে সে প্রথম বর্ষের পর পড়া ছেড়ে দেবে তাহলে তাঁকে কলেজ থেকে একটা সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে। এই সার্টিফিকেট পেয়ে ওই পড়ুয়ার আখেরে কোনও লাভ হবে না। কারণ চার বছরের স্নাতক আর স্নাতকস্তরে এক বছর পড়ে সার্টিফিকেট পাওয়া ছাত্রের মধ্যে যে শিক্ষার গুণগত পার্থক্য চাকরির বাজারে বা অন্য সব ক্ষেত্রে থাকবেই, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই প্রসঙ্গে কলকাতার এক কলেজের অধ্যাপক বলেন, “এমনিতেই বর্তমান স্নাতকস্তরের পাঠক্রমে তিন বছরের পড়া শেষ করতে সব পড়ুয়া পারে না। তাই চার বছরের এই স্বেচ্ছায় পড়া ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নিয়মে বেকার সংখ্যা যেমন বাড়াবে তেমন শিক্ষার গুণগত মানও হ্রাস পাবে। বর্তমান শিক্ষাক্রমে ছ’মাসের পর সেমিস্টার হয়। এই ছ’ মাসে কোর্স শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন এই সিজিপিএ পদ্ধতি চালু আছে। শোনা যাচ্ছে নতুন চার বছরের শিক্ষাক্রমেও সিজিপিএ পদ্ধতির মতোই ছ’মাস অন্তর সেমিস্টার হবে। এই সময়টার মধ্যে একজন ছাত্র-ছাত্রীর পক্ষে পড়ে পরীক্ষা দেওয়া খুব সমস্যার। কারণ, এই ছ’ মাসে আমরা সিলেবাসই শেষ করতে পারি না। তাই ছাত্রছাত্রীদের শেখাটাই হয় না। তা ছাড়া এই ছ মাসের মধ্যে নানান ছুটিছাটা থাকে, ক্লাস হয় না। আমরা জানি এখনের মতো নতুন শিক্ষানীতিতেও সিজিপিএ-র মতো ছ মাসের পর সেমিস্টার থাকবে। তাই পড়াশোনা হওয়ার সম্ভাবনা সত্যই কমে যাচ্ছে। আমরা ভালো ভাবে খাতা দেখার পর্যন্ত সময় পাই না।”
এখানেই শেষ নয়। ওই অধ্যাপক বললেন, “এ ছাড়া চার বছরের পর এক বছরের মাস্টার্স বা পোস্ট গ্রাজুয়েট পাঠক্রম চালু হবে নতুন শিক্ষা নীতিতে। এসব সামলাতে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে হিমশিম খেতে হবে। কারণ বহু কলেজেই পর্যাপ্ত অধ্যাপক নেই। এ ছাড়া তিন বছরের স্নাতকের পর দু বছরের স্নাতকোত্তর পাঠক্রম বর্তমানে চালু আছে। সেটাকে ভেঙে চার বছরের স্নাতক, এক বছরের স্নাকোত্তর পাঠক্রম কলেজে চালু করার পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি থাকছে না। আর এই পুরো বিষয়টাই পড়ানো হবে কলেজ। এক বছরের মাস্টার্স শুনতে হাস্যকর বা অবাক লাগবে, পড়ুয়ারা প্রুস্তুতির সময় পাবে না। তার ওপর পিএইচডি করতে পারবে ওই একই সময়ে। কাজেই শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র রাজ্যে কার্যকর হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা অন্তঃসার শূন্য অবস্থার সৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি বাইরের ইউনিভার্সিটি তাদের মতো করে সিলেবাস নিয়ে আসবে। কাজেই যাদের সামর্থ আছে সেই পড়ুয়াদের ভিড় সেখানে হবে, সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজের সংখ্যা যে কমে যাবে তাতে সন্দেহ নেই । ঠিক যে অবস্থা সরকারি, সরকার পোষিত, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে হয়েছে।”
কেউ কেউ বলছেন, “জাতীয় শিক্ষানীতির মধ্যে রাজনীতির একটা প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। যার ফলে রাজনীতির কারবারিদের লাভ হলেও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ কার্যকর করে পড়ুয়াদের বিশেষ লাভ হবে না।”
যে কারণে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন জাতীয় শিক্ষানীতি সমর্থন করছেন না :-
♦ জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া তৈরি হয়েছে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, শিক্ষক ও ছাত্রদের মতামত সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে এবং এখন দেশের সাধারণ মানুষ ও রাজ্য সরকারগুলির ওপর তা এক প্রকার চাপিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, যা চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক ও একতরফা সিদ্ধান্ত বলেমনে করছে অধ্যাপকদের সংগঠন।
♦ এই শিক্ষানীতি স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং সাম্মানিক (ফেলোশিপ)-এর সাধারণ প্রবেশিকা পরীক্ষা পরিচালনার জন্য আমলাতান্ত্রিক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে। এর ফলে দরিদ্র ছাত্রদের সমস্যা বাড়বে , তারা সুযোগ কম পাবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি অসুস্থ প্রতিযোগিতার জন্ম দেবে। শিক্ষা পণ্যে রূপান্তরিত হবে। শিক্ষার বিপুল ব্যয় ও কোচিং সেন্টারের খরচের বোঝা বইতে না পেরে হাজার হাজার মেধাবী দুঃস্থ ছাত্রছাত্রী শিক্ষাজগৎ থেকে সরে যেতে বাধ্য হবে। দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের কথা বিন্দুমাত্র না ভেবে এই জাতীয় শিক্ষানীতি স্নাতক স্তরেও প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রবর্তনের সুপারিশ করছে, এই বিষয়টি হতাশাজনক।
♦ এই শিক্ষানীতি ‘ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্সেস’, ই-কোর্স, ভার্চুয়াল ল্যাব প্রবর্তনের ওপর জোর দিয়েছে। অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি মূল প্রথাগত শিক্ষার সহায়ক হতে পারে কিন্তু বিকল্প হতে পারে না। অনলাইন শিক্ষাকে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চলছে যা শিক্ষার বাণিজ্যিকরণ ও বেসরকারিকরণকে আরও দ্রুততার সঙ্গে ত্বরান্বিত করবে। ভারতের মতো দেশে অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সমস্যায় ফেলবে।
♦ জাতীয় শিক্ষানীতিতে একাধিক প্রবেশ-প্রস্থান বিকল্প সমেত ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রির সুপারিশ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে যে ৪ বছরের ডিগ্রি প্রোগ্রামটি হবে খুবই নমনীয়। যদি কোনও ছাত্রছাত্রী মাঝপথে পড়া ছেড়ে দেয়, তবে সার্টিফিকেট প্রদানের ব্যবস্থাটি হবে এইরকম : ১ বছরের জন্য একটি ডিপ্লোমা, ২ বছরের পর একটি অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা, ৩ বছরের জন্য ডিগ্রি এবং ৪ বছরের পর ব্যাচেলরস প্রোগ্রাম। দুঃখের বিষয় হল, এই নীতিটি সরকারকে উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব থেকে খুব সুচারুভাবে মুক্ত করে দেবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলি ‘সার্টিফিকেট’ কেনাবেচার আস্তানায় পরিণত হওয়ার তীব্র সম্ভাবনা থাকছে। চাকরি ও সার্টিফিকেটের লোভে ড্রপ আউটকে আইনসিদ্ধ হওয়ার একটা সুচারু ব্যবস্থা এই শিক্ষানীতির দ্বারা বাস্তবায়িত হবে। শিক্ষিত বেকারের এই বাহিনীতে যে কোনও বেসরকারি সংস্থাই সন্দেহাতীত ভাবে একজন ডিপ্লোমা বা অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমাধারীর চাইতে একজন ৪ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীকে বেছে নিতেই চাইবে।
♦ জাতীয় শিক্ষানীতি চায় হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া বা এইচইসিআই নামে একটি নিয়ন্ত্রক আমলাতন্ত্র তৈরি করতে। ইউজিসি, এআইসিটিই বা অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিকাল এডুকেশন, এনসিটিই বা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন, বিসিআই বা বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এবং পিসিআই বা ফার্মাসি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ইত্যাদির মতো অপেক্ষাকৃত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলির বদলে একমাত্র এই এইচইসিআই কাজ করবে। এই পথে শিক্ষার কেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে।
♦ জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশে সারা পৃথিবীর সাথে সমস্তরে আসার নামে ১০০টি বিদেশি কলেজকে ভারতে নিজেদের ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে সম্পূর্ণ এফডিআই বা ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা সরাসরি বিদেশি লগ্নিকরণ-এর রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, ইয়েল, এমআইটির মতো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এত দূরে ক্যাম্পাস খোলার কোনও গরজ থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক। কারণ মূল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান বজায় রাখা তার ফলে অত্যন্ত কঠিন তাদের কাছে। এভাবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলিকে এত সহজে এ দেশে ক্যাম্পাস খোলার অধিকার দেওয়ার ফলে শুধুমাত্র নিম্নমানের প্রতিষ্ঠানগুলিই ভারতে লগ্নি করবে ও সর্বোচ্চ লাভের লক্ষ্যে ভারতের জনগণের উপর বিপুল লুঠ চালাবে। এদের দেওয়া সার্টিফিকেটের কি মূল্য থাকবে?
♦ জাতীয় শিক্ষানীতিতে তিন ধরনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে– রিসার্চ ইউনিভার্সিটি, টিচিং ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাকাডেমিক কলেজ। এই ব্যবস্থায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার অধীনস্থ কলেজগুলির যে শিক্ষাগত যোগাযোগ থাকে তা বিঘ্নিত হবে বলে অধ্যাপকরা মনে করছেন।
জাতীয় শিক্ষানীতির লক্ষ্য প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই শিক্ষানীতি ছাত্রদের মধ্যে মৌলিক কর্তব্যবোধ এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। শিক্ষক শিক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সমস্ত বিএড কোর্সগুলি মৌলিক কর্তব্যের চর্চায় জোর দেবে। কিন্তু জাতীয় শিক্ষানীতির পুরোটা পড়ে তার কোথাও মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে একটি শব্দ খরচ নজরে পড়েনি। যেখানে দেশের সরকারের উচিত শিক্ষক এবং ছাত্রদের নিজেদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সজাগ করা, যেখানে নীতিনির্ধারকদের অবশ্যপালনীয় কর্তব্য হল, সরকার যাতে দেশের নাগরিকদের তাদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা, সেখানে আজকের ‘আত্মনির্ভর ভারতে’ মৌলিক অধিকারের প্রসঙ্গ জাতীয় শিক্ষানীতিতে সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই রাজ্যের অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ প্রশ্ন তুলছেন, এই জাতীয় শিক্ষানীতি কি দেশের শিক্ষার্থীদর সহায়তা দেবে ? যদি তা না দেয় তাহলে এই জাতীয় শিক্ষানীতির প্রয়োজন কি ছিল?
♦—♦—♦
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34