- ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
- জানুয়ারি ৭, ২০২৪
ধারাবাহিক: পাহাড়িয়া পথে পথে।পর্ব ৫
গাড়োয়াল হিমালয়ের অন্যতম বিখ্যাত দুন স্কুলে তখন আর্থার ফুট, জন মার্টিন, জ্যাক গিবসন এবং আর. এল. হোল্ডসওয়ার্থ নামক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে পর্বতারোহণের সূচনা ঘটিয়েছেন। এদেরই ছাত্র নন্দু জয়াল পরবর্তীকালে দিকপাল আরোহী হয়ে ওঠেন
বাঙালির পর্বতারোহণ অভিযানের অন্যতম সূচনা পুরুষ: বিদ্যুৎ সরকার
ভুবন পাহাড় আর গিরিশৃঙ্গের প্রতি তাঁর দুর্ভেদ্য আকর্ষণ উৎসবমুখর করে তোলে ভূগোলের বিদ্যাযাপন । পেশা আর নেশা যখন একাকার হয়ে ওঠে, তখনই তাঁর অনুভূতিকে অন্যভাবে জাগিয়ে তোলে— ‘শেষের কবিতার’ শোভনলালের পাহাড়ের পথে পথে ঘুরে বেড়ানোর বেহিসেবিয়ানা । গন্তব্য জগতের এক শৃঙ্গ থেকে আরেক শৃঙ্গ
♦ পর্ব ৫ ♦
জীবন একটি অন্তহীন দৃশ্যান্তরের দিকে চলে যাওয়া জাদুবাস্তব সিনেমার মতো। এখানে দিন প্রতিদিন অবক্ষয়ের দূরতম উপশম নেমে আসে সময়ের নিঃশব্দ ডানায়। সিনেমাও আবহমান কাল ধরে বয়ে চলা নদীর ভাষাহীন আয়নায় প্রতিফলিত জীবনের মতো। এখানে জীবন পরিবেশিত হয় ‘গল্প হলেও সত্যি’ অভিনয়ের আশ্চর্য এক রাঙতার মোড়কে। সিনেমায় ক্যামেরার সামনে একজন নায়ক দশজন খলনায়ককে একযোগে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারেন অথচ ব্যক্তিজীবনে তিনি নেহাৎ অপারগ এবং শান্তিপ্রিয় মানুষ। টেক রিটেক মিলিয়ে ‘সিনেমা’ একজন অভিনেতাকে একাধিক সুযোগ করে দেয় একটি সফল যাপনের অভিমুখে। কিন্তু কঠিন বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে মানুষের ‘জীবন’-এ আক্ষরিক অর্থেই একটি মাত্র সুযোগ থাকে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁকে ভরে নিতে হয় সমগ্র জীবনের মাধুকরী। এখানে কোনও দ্বিতীয় নেই, পুনরায় নেই, অধিকন্তু পুনশ্চ কিছুই নেই। আছে শুধু উজাগর নীলের মতো সারাৎসার শূন্যমাখা মহাসত্যের চরাচর। তাই জীবন এবং সিনেমা পরস্পরের প্রতিফলক হলেও ‘রিল লাইফ’ এবং ‘রিয়েল লাইফ’ একটিমাত্র ভুলের পার্থক্যে দাঁড়িয়ে থাকে।
বোকা বাক্সের দিন পেরিয়ে জাদু বাক্সের ইন্দ্রজাল কাটিয়ে আমরা এসে পড়েছি এক মহাপাতক ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র অসময়ে। আমরা টেলিভিশনের পর্দায় শক্তিম্যান, স্টোনম্যান, আয়রনম্যান, ব্যাটম্যান, স্পাইডারম্যানকে দেখেছি অবতারের ভূমিকায়। দেখেছি রুপালি পর্দার নায়ক বহুদূর থেকে মরীচিকার মতো ইশারায় নেড়েছে হাত বিপুল সংখ্যক জনগণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু দিনের উপান্তে নাইট শোয়ের টিকিট ছিঁড়ে হওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে ‘সিনেমা অবাস্তব’ মেনে নিয়ে নিখাদ মনোরঞ্জনে মশগুল হয়ে বাড়ি ফিরেছি। এইসব অতিদূর অবাস্তব আলেয়ার আলো মাটির কাছাকাছি জীবনে প্রদীপের আলো জ্বালাতে পারে না। বিষন্নতার কুহক আঁধার ঘিরে ধরা মনকে উত্তরণের দিশা দেখাতে পারে না। ব্যর্থতার কাঁধে হাত রেখে ‘উই শ্যাল ওভারকাম’ গাইতে পারে না। রোবট জনজাতির কৃত্রিম পদার্থগুলি চাহিদা মতো আমাদের সব কাজ করে দিতে পারে কিন্তু প্রাণ ও মনের স্বাদর স্পর্শ এনে দিতে পারে না। কারণ তাঁরা কেউ বাস্তব জীবনের মেক-আপ, লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন বর্জিত নায়ক মহানায়ক নন।
অবক্ষয়ী এই সময়ে কোথাও কোনও অত্যুজ্জ্বল মনীষীর উদাহরণ নেই, যাদের বাণী এবং উপদেশ মানুষকে সঞ্জীবিত করবে উৎসাহিত করবে জীবনের প্রকৃত অর্থে। শ্রীরামকৃষ্ণ নেই, বিবেকানন্দ নেই, রবীন্দ্রনাথ নেই, মহাত্মা গান্ধী নেই, সুভাষ বোস নেই, অরবিন্দ নেই, নেলসন ম্যান্ডেলা নেই, কার্ল মার্কস নেই, লেনিন নেই, চে গুয়েভারা নেই ! স্পর্শাতীত এই মানুষগুলির অনুসারী ছায়া অব্দি নেই এমন ঘোরতর আঁধারে। বর্তমান সময় এবং সমকালীন প্রজন্ম তবে কার দিকে তাকিয়ে থাকবে ? কে তাদের সামনে ব্যতিক্রম না হয়ে উদাহরণ হবে ? কে শিখিয়ে দেবে বজ্রের মতো কঠিন পেশী গঠন আর ইস্পাতের মতো অনমনীয় স্নায়ু বিন্যাস ? প্রযুক্তির এই সর্বগ্রাসী হড়পা বানের তীব্র আস্ফালনের সামনে স্রোতের বিপরীতে বইতে পারা একটি ততোধিক সুতীব্র চরিত্রের আশু প্রয়োজন বর্তমান সময়ে।
একজন পর্বতারোহী, শ্রী রামকৃষ্ণের মতো যার চৈতন্য বোধ, বিবেকানন্দের মতো যার দর্শন চিন্তা, রবীন্দ্রনাথের মতো যার বিশ্বজনীন প্রেম, গান্ধীর মতো যার স্থিতধি সহিষ্ণুতা, সুভাষের মতো যার সর্বত্যাগী জাতীয়তাবোধ, অরবিন্দের মতো যার ভাবসাগর, ম্যান্ডেলার মতো যার নেতৃত্ব কৌশল, মার্কস লেনিনের মতো যার আদর্শবাদী বিপ্লব চেতনা, তাঁর চারিত্রিক গঠনই এই পৃথিবীর এবং এই মানব সভ্যতার শেষতম অহংকার। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কোনও রিটেক ছাড়াই মৃত্যুকে যে চ্যালেঞ্জ করতে পারে সেই অদম্য নায়কোচিত জেদ একদিন সামাজিক বিপ্লব ডেকে আনবে আমি বিশ্বাস করি। একজন পর্বতারোহী বিশ্বাস করে — “সুখের আশা আঁকড়ে লয়ে মরিস নে তুই ভয়ে ভয়ে, জীবনকে তোর ভরে নিতে, মরণ আঘাত খেতেই হবে।” অর্থাৎ, মৃত্যুভয় কাটিয়ে উঠে নব জীবনের যে আনন্দধারা রসে জীবন সম্পৃক্ত হয় তার অভিব্যক্তি এই পৃথিবীর কোনও ভাষায় প্রকাশ অসম্ভব। একজন ধনী মানুষ যার প্রচুর অর্থ এবং প্রতিপত্তি আছে, যিনি পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরে আসতে পারেন কিন্তু একজন পর্বতারোহী এমন বহুর ভিড়ে আপন চরিত্রের অনন্য মহিমায় সমুজ্জ্বল। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা আলাদা রকমের শ্রদ্ধা সমীহ এবং সম্মান আদায় করে নেন কারণ তারা সকলের থেকে আলাদা। একজন পর্বতারোহী আত্মবিশ্বাসী, মানসিক ভাবে যেকোনও কাজ এবং পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে সক্ষম, অদম্য যার কৌতুহল এবং পথের নেশা, প্রতিনিয়ত আত্ম সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে উন্নয়নের অনুশীলনে যিনি ব্যস্ত, একটি সুচারু ব্যক্তিত্বের অধিকারী, নির্ভীক এবং বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদী বিশ্লেষণের আলোকে যার মনন উদ্ভাসিত। রুপোলি পর্দার নায়ক যেখানে ব্যর্থ, রাজনেতার মিথ্যে অঙ্গীকার যেখানে ব্যর্থ, সেখানে এমন রক্ত মাংসের বাস্তবিক নায়কের অভিযাত্রী সুলভ মননের দিকেই তো পৃথিবী তাকিয়ে থাকে। তার অভিযাত্রী সুলভ আদর্শে অনুপ্রাণিত হয় আপামর যুবসমাজ। সুতরাং — “By developing knowledge and experience in the practical mountaineering situations with rational analysis and intellectual investigations of the fundamentals of the sport, one can become a ‘mountaineer’ and a true mountaineer is matured, motivated person mentally specialised in facing dangers. And, interestingly, the dangers in the mountain attract people more as because one who faces the silent face of death learns to leave more lively and probably, devoid of danger mountaineering would lose all it’s beauty.”
অজানাকে এমন করে জানবার নেশার ভেতরেই অ্যাডভেঞ্চার কথাটির বীজ লুকিয়ে রয়েছে। সেই ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় এবং ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু বিশ্বাস করেছিলেন অ্যাডভেঞ্চার জাতির মেরুদন্ড গঠন করে।
ভারতীয় যুব সমাজ যেন সঠিক পথে পরিচালিত হয়ে উপযুক্ত ট্রেনিং নিয়ে পাহাড়ে হাঁটা শুরু করতে পারে সেই উদ্দেশ্য সফল করতে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙে তৈরি হলো হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট(HMI)। অন্যদিকে ১৯৬৪ সালে গাড়োয়াল হিমালয়ের কোলে উত্তরকাশীতে গড়ে উঠলো নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং(NIM)।
১৯৬০ সালের নন্দাঘুন্টি অভিযানের মধ্য দিয়ে যে সফল উদ্যোগ বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার পিছনে বহু কৃতি বাঙালির ভূমিকা অনস্বীকার্য। সত্তর দশকে বাঙালি তার শৈশব অবস্থা কাটিয়ে যৌবনে প্রবেশ করলে দিকে দিকে পাহাড়ি অভিযান নিয়ে আলোড়ন গড়ে ওঠে। ১৯৭৬-৭৭ সালে প্রায় এক বছর সময় ধরে বিদ্যুৎ সরকার একক উদ্যোগে ট্রান্স হিমালয়ান ট্রেক সম্পূর্ণ করেন। হিমালয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য শ্রী কৃষ্ণকমল দে এককভাবে ১৯৭৯ সালে কেদারডোম সফল আরোহণ করেন
১৯৫৩ সালে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগের এভারেস্ট শীর্ষ আরোহণের ঘটনা সমগ্র পৃথিবীতে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল তার হাত ধরেই ভারতবর্ষের পর্বতারোহণের সূচনা হয় এই ধারণাটি সত্য নয়।
গাড়োয়াল হিমালয়ের অন্যতম বিখ্যাত দুন স্কুলে তখন আর্থার ফুট, জন মার্টিন, জ্যাক গিবসন এবং আর. এল. হোল্ডসওয়ার্থ নামক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে পর্বতারোহণের সূচনা ঘটিয়েছেন। এদেরই ছাত্র নন্দু জয়াল পরবর্তীকালে দিকপাল আরোহী হয়ে ওঠেন। এই নন্দু জয়াল ছিলেন হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের প্রথম অধ্যক্ষ। পরবর্তীকালে ১৯৫৮ সালে চোউও অভিযানে গিয়ে মাত্র ৩২ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। ১৯৮৪ সালে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে বাচেন্দ্রি পাল এভারেস্ট আরোহণ করলে উপমহাদেশের নারী শক্তি এক ধাক্কায় জেগে ওঠেন। এইভাবে ক্যাপ্টেন এম এস কোহলি, সোনাম ওয়াঙ্গিয়াল, নোয়াং গম্বু, গুরুদয়াল সিং, পুরান সিং প্রমূখ পর্বতারোহী ভারতের পর্বতারোহণের ইতিহাসকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যান। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে সমগ্র ভারতবর্ষ থেকে মোট ৩৩৯ টি অভিযান সংঘটিত হয়।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে তখন পর্যন্ত সর্বভারতীয় স্তরে পর্বতারোহণের উদ্যোগ গড়ে ওঠেনি। এ বিষয়ে বাঙালির উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো কম। ১৯৬০ সালের নন্দাঘুন্টি অভিযানের মধ্য দিয়ে যে সফল উদ্যোগ বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার পিছনে বহু কৃতি বাঙালির ভূমিকা অনস্বীকার্য। সত্তর দশকে বাঙালি তার শৈশব অবস্থা কাটিয়ে যৌবনে প্রবেশ করলে দিকে দিকে পাহাড়ি অভিযান নিয়ে আলোড়ন গড়ে ওঠে। ১৯৭৬-৭৭ সালে প্রায় এক বছর সময় ধরে বিদ্যুৎ সরকার একক উদ্যোগে ট্রান্স হিমালয়ান ট্রেক সম্পূর্ণ করেন। হিমালয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য শ্রী কৃষ্ণকমল দে এককভাবে ১৯৭৯ সালে কেদারডোম সফল আরোহণ করেন। ১৯৭৯-৮০ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পশ্চিম সিকিমে অ্যালপাইন স্টাইলে একটি অভিযান চালালে সেটি অসফল হয়। কলকাতার ‘দিগন্ত’ নামক একটি পর্বতারোহণ সংস্থা ১৯৮১ সালে নন্দাখাত পর্বতে অ্যালপাইন স্টাইলে প্রথম সফল অভিযান করে। ১৯৮৪ সালে ভারতীয় এভারেস্ট অভিযানের বাছাই পর্বে এবং প্রি-এভারেস্ট অভিযানে বাঙালির উপস্থিতি এবং অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু দুঃখজনকভাবে চূড়ান্ত তালিকায় কোনও বাঙালির ঠাঁই হয়নি। আশির দশকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ৪৮ টির বেশি অভিযান সংঘটিত হয়।
১৯৯১ সালে চিনের পথে ভারতের প্রথম এভারেস্ট অভিযান সংঘটিত হয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে। সমগ্র ভারতবর্ষের পর্বতারোহী মহলে এই রুট ছিল প্রায় অজানা। কিন্তু নানান আবহাওয়াজনিত প্রতিকূলতায় এবং ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে এই অভিযান সফল হয়নি। এভারেস্ট শীর্ষের সামান্য কয়েকশো মিটার নিচ থেকে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে হয়েছিল বাংলার পর্বতারোহীদের। ১৯৯৩ সালে একই পথে দ্বিতীয় বার অভিযান চালানো হয় পূর্বের সমস্ত অভিজ্ঞতা একত্রিত করে। পরপর এই দুটি অভিযানে বাংলার আপামর সাধারণ মানুষ জড়িয়ে পড়েছিলেন মানসিকভাবে। মানুষের উন্মাদনা এবং উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া জনিত কারণে এই অভিযানও অসফল হয়। এরপর সম্পূর্ণ নব্বই দশক ধরে কাংলা টার্বো, চৌখাম্বা, সিবি-১১,ভৃগুপন্থ, বন্দর পুঁচ্ছ, গরুর ডোম, মাথো কাংরি, চামসের কাংরি ইত্যাদি পর্বত অভিযান সফল হলেও এভারেস্ট শৃঙ্গ অভিযান থেকে বাঙালি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল চুড়ান্ত মনোকষ্টে আর অভিমানে।
ক্রমশ…
আগের পর্ব পড়ুন:
❤ Support Us