- ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
- জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
ধারাবাহিক: পাহাড়িয়া পথে পথে। পর্ব ৬
স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দীর্ঘ কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে আমার অন্তর এবং বহিরঙ্গে যে আলতামিরা গুহাচিত্র, গ্লোবাল ভিলেজ-এর মনস্তত্ত্ব এবং ভূগোলের দার্শনিকতার জারণ ঘটেছিল তার কিছুটা সুফল আমাকে হিমালয়ের পথে পথে সাফল্য এনে দিয়েছিল এ কথা অনস্বীকার্য
অলঙ্করণ: দেব সরকার
ভুবন পাহাড় আর গিরিশৃঙ্গের প্রতি তাঁর দুর্ভেদ্য আকর্ষণ উৎসবমুখর করে তোলে ভূগোলের বিদ্যাযাপন । পেশা আর নেশা যখন একাকার হয়ে ওঠে, তখনই তাঁর অনুভূতিকে অন্যভাবে জাগিয়ে তোলে— ‘শেষের কবিতার’ শোভনলালের পাহাড়ের পথে পথে ঘুরে বেড়ানোর বেহিসেবিয়ানা । গন্তব্য জগতের এক শৃঙ্গ থেকে আরেক শৃঙ্গ
♦ পর্ব ৬ ♦
তপস্যার দেবভূমি হিমালয় সনাতন ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক এবং বৌদ্ধিক বিচরণের মহামিলনক্ষেত্র। মানুষের জীবন জিজ্ঞাসার মতোই হিমালয়ের পরিধি সুবিস্তৃত, উচ্চতা দুর্গম রহস্যময়, এবং অনতিক্রম্য একটি খোঁজের আদি পুরুষোত্তম রূপ। ভারত মহাসাগরের তীরে উপমহাদেশ ভারতবর্ষ শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থে আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত নয়, সমগ্র জাতি এই হিমালয়ের মহিমার সামনে নত মস্তকে বিলীন। পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার জন্ম মুহূর্তের সুজলা সুফলা ধারা স্রোত জলপ্রপাতের মত নেমে এসেছে হিমালয়ের বুক চিরে। ভারতবর্ষের পৌরাণিক ইতিহাস, বেদ উপনিষদ রামায়ণ মহাভারতের নানান ঘটনা প্রবাহ যোগ সাধনার এবং সনাতন চেতনার চিহ্ন ছেড়ে গেছে হিমালয়ের গুহা অরণ্য হিমবাহের নিবিড় অন্তরালে। রহস্যময় এক অধরা ইয়েতির পায়ের ছাপ খুঁজে ফেরা পাহাড়ের লোকজ মিথ অথবা তীর্থক্ষেত্রের আকাশে বাতাসে ভাসমান ব্রহ্ম কমলের রেণুর মায়াবী ভ্রম ছুটেছে মর্মমূলে। অন্যদিকে, হিমালয়ের আহত বরফের পাশে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে দেখি বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে উৎসের মুখে পিছিয়ে যাওয়া হিমবাহের বিক্ষত পায়ের ছাপ, উন্নয়নের জিগির, বাধাহীন যাতায়াতের ট্যানেল পরিকল্পনায় পাহাড়ের ক্রমবর্ধমান শিথিলতা, নগরায়নের চাপে নানান পাহাড়ি শহরের মাটির ভিতর সেঁধিয়ে যাওয়া বিপদের সংকেত, উলম্ব আকাশের বাঁধভাঙ্গা বৃষ্টি, হড়পা বানের তোড়ে কাদায় ডুবে যাওয়া পাহাড়ি জনপদ ইত্যাদি নানান ভবিষ্যতের সাংকেতিক ঘটনা প্রবাহ।
হিমালয়ের এই বৌদ্ধিক সত্তা এবং বীভৎসতার অন্য পিঠে রয়ে গেল আরও এক অনালোকিত ইতিহাস। নেহাতই পেশার তাগিদে হিমালয়ের বিপদ সংকুল গিরি শিরায় বুক চিতিয়ে লড়ে চলা প্রবাদপ্রতিম পাহাড়ি শেরপা মালবাহকদের পরিশ্রম এবং সাহসিকতার কাছে আমাদের আভূমি কৃতজ্ঞতা। দুর্গম পাহাড়ের গ্রামীণ সহজ সরল শিশু কিশোর এবং যৌবনের মধুর স্বপ্নগুলির প্রতি স্নেহ ভালোবাসার স্পর্শ। পাহাড়িয়াদের পায়ে পায়ে সামনে পেছনে আশেপাশে অনবরত পথের গন্ধ শুঁকে চলা ধর্মরাজের ছদ্মবেশে পথপ্রদর্শক সেই কুকুরটির প্রতি প্রগাঢ় আস্থা। স্থানীয় দেহাতি এবং অভিজ্ঞ গাইড মালবাহকদের পেটে লাথি মেরে ‘ইন্ডিয়া হাইকস’-এর মতো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ঝাঁ-চকচকে ব্যবস্থাপনায় পাহাড়ের বুকে অহেতুক ঔদ্ধত্যপূর্ণ চলাফেরা হিমালয়ের গ্রামীণ অর্থনীতির কফিনে পেরেক দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তোলে। গাড়োয়াল হিমালয়ের বুকে পরিবেশ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মানুষের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ইতিহাস হিমালয়ের পথে পথে আমাদের উদ্দীপিত করে আজও।
ভারত পাকিস্তান চিন তিব্বত নেপাল ভুটান এই বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে হিমালয়ের অবস্থিতি এবং বিশেষভাবে এখানেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১৪টি আট হাজার মিটার শৃঙ্গের ভয়ানক হাতছানি দুনিয়ার তাবড় পর্বতারোহী ট্রেকার পরিব্রাজক ভ্রমণপিপাসু যাযাবর বোহেমিয়ান পথভোলাদের ডেকে এনেছে। জাতি ধর্ম পেশা নির্বিশেষে মানুষ দলে দলে হিমালয়ের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করেছে দূর থেকে। এদের কেউ কেউ হিমালয়ের চ্যালেঞ্জকে সসম্মানে গ্রহণ করে পৌঁছে গেছে সাগরমাতার শীর্ষে। বাকিদের মতো বাঙালিও বাড়িতে বসে রইল না আর। মাত্র দুই দশকের কিছু কম সময়ে ১৯৯১ এবং ১৯৯৩ এর অসাফল্যের আঘাতে সময়ের প্রলেপ নেমে এলো। বাঙালি আরও একবার বুক বাঁধলো ‘মাউন্টেনেরিং এসোসিয়েশন অফ কৃষ্ণনগর’-এর সেই দুই তরুণ তুর্কির মুখ চেয়ে। অবশেষে ১৭ই মে ২০১০ সালে বসন্ত সিংহ রায় এবং দেবাশীষ বিশ্বাসের হাত ধরে বাঙালির বহু তিতিক্ষার সেই এভারেস্ট শীর্ষ স্পর্শের আনন্দ আস্বাদ পেলো। আত্মঘাতী বাঙালি তকমার শাপমোচন ঘটিয়ে বাঙালির পাহাড়ি মননে ফিরে এলো নবজোয়ার। সংবর্ধনা আর আহ্লাদ অভিনন্দনে ভেসে গেল ওরা দুজন। পরদিন খবরের কাগজে বসন্ত এবং দেবাশীষের এই ‘প্রথম অসামরিক বাঙালি এভারেস্ট জয়ী’ কৃতিত্বের ইতিহাস ছড়িয়ে পড়ল বাংলার ঘরে ঘরে। খবরের কাগজে প্রথমবার ওদের দুজনকে দেখে আমার কোন স্বর্গের মহান দেবতার তুলনায় কম কিছু মনে হয়নি। ‘ওরা পারলে আমরাও পারবো’ এই জেদের ঢেউ পরবর্তী দশ বছরে আরো কুড়ি জন এভারেস্ট জয়ী বাঙালির জন্ম সাক্ষী হয়ে রইল।
আমার জীবনে তখন উথাল পাতাল। পাহাড়ের অনুসঙ্গ থেকে মাইল মাইল দূরে পথ ভুলে পৃথিবীর অন্য পথে। দীর্ঘ প্রস্তুতির পর, ২০১২ সালে লন্ডনের ‘ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাংলিয়া’ থেকে আমার কাছে পিএইচডির আমন্ত্রণ এলো। কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে ফেলোশিপ ব্যবস্থা করতে না পারা এবং পারিবারিক আর্থিক সঙ্গতির অভাবে এই আমন্ত্রণে আমি সাড়া দিতে পারিনি। বুকের অতলে কষ্টকে অবলীলায় গিলে নিয়ে ২০১৩ সালে ভারত সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রদত্ত ফেলোশিপ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভূগোলে পিএইচডি ডিগ্রির পড়াশোনা শুরু করলাম। গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার হাতছানির ডাকে ফেলে এসেছি স্কুলের স্থায়ী চাকরি। ভয় হতো, সাধারণ বাঙালি পরিবার থেকে অবহেলায় চাকরি ছাড়ার এমন দুঃসাহস আগামীদিনে খেসারত দিতে হবে না তো ? কারণ একটি পিএইচডি পাঁচ বছরের আর্থিক দায়ভার নিলেও চাকরির নিশ্চয়তা এবং সারা জীবনের আর্থিক দায়ভার নিতে পারে না। ‘আদর্শ গ্রাম’ নিয়ে গবেষণা সূত্রে আমি তখন ঘুরে বেড়াচ্ছি উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রত্যন্ত বাংলার গ্রামে গঞ্জে। রক ক্লাইমিং-এর অভ্যাস বয়ে চলেছি সমান্তরাল রেললাইনের মতো। বাঙালির প্রথম এভারেস্ট জয়ের সময় আমি তখন নেহাতই শিশু পায়ে হেঁটে চলেছি পুরুলিয়া বাঁকুড়া উড়িষ্যার পাহাড়ে পাহাড়ে। পাহাড়ে যাবার জন্য প্রয়োজনীয় ভালো জুতো, ঠান্ডা জামাকাপড়, মালপত্র বইবার রুকস্যাক, ঘুমানোর জন্য স্লিপিং ব্যাগ, তাঁবু এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপকরণ আমার কিছুই ছিল না। একটু একটু করে আমি সেসব কিনেছি গবেষণার টাকা জমিয়ে। ২০১৪ সালে হঠাৎ একদিন শৈলসাথীর সম্পাদক মহাশয়ের ডাকে প্রায় প্রস্তুতি ছাড়াই সম্বলহীন বেরিয়ে পড়লাম পিন্ডারি-সুন্দরডুঙ্গা-কাফনি হিমবাহ অভিযানের পথে। উত্তরাখণ্ডে গাড়োয়াল হিমালয়ের এই পথেই আমার পাহাড়ের হাতেখড়ি। পাইন জঙ্গলের ভেতর বাঘেশ্বর থেকে লোহারখেত বাংলো পর্যন্ত সেই সুবিশাল চড়াই এর পথে রুকস্যাক কাঁধে নবিশ পায়ে আমার প্রথম হাঁটা দেখে সহযাত্রী যাঁরা তাদের যুবক বয়সের স্মৃতি ফিরে পেয়েছিলেন, আস্থা রেখেছিলেন আমার পারদর্শিতায়, তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা তাদের কাছেও যারা পরবর্তীকালে আমাকে একটি স্থায়ী চাকরির যোগ্য মনে করেননি, শোনেননি অন্তরাত্মার ডাক, আমার বহু বাসনায় প্রাণপণে চাওয়াগুলি থেকে বঞ্চিত করে আমাকে বাঁচিয়েছিলেন। কারণ চাকরিটা আমি পেয়ে গেলে হয়তো বেলা শুনতে পেয়ে যেতো, কিন্তু আমি শুনতে পেতাম না পাহাড়ের ডাক। যাইহোক, স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দীর্ঘ কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে আমার অন্তর এবং বহিরঙ্গে যে আলতামিরা গুহাচিত্র, গ্লোবাল ভিলেজ-এর মনস্তত্ত্ব এবং ভূগোলের দার্শনিকতার জারণ ঘটেছিল তার কিছুটা সুফল আমাকে হিমালয়ের পথে পথে সাফল্য এনে দিয়েছিল এ কথা অনস্বীকার্য। আমার চামড়ায় পাহাড়ের ভূতত্ত্ব, শিরায় নদী হিমবাহ চলন, এবং হাড় মাংসে বৃহত্তর জীবনবোধের উত্তরণ ঘটেছিল একটি অজানিত ইশারায়।
আগস্ট ২০১৫ সাল। ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের মস্কোগামী বিমান যখন মার্কস-লেনিনের দেশ রাশিয়ার উদ্দেশে শেষবারের মতো দিল্লির মাটি ছেড়ে ডানা মেললো আকাশে, আমার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো এক অস্ফুট ‘ইনকিলাব’ উচ্চারণে ! গবেষণার হাত ধরেই বিদেশের পথে পথে আমার দরজা খুলে গেল পশ্চিম অভিমুখে। লোমোনোসোভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি আমন্ত্রণে এবং ইন্টারন্যাশনাল জিওগ্রাফিক্যাল ইউনিয়ন-এর (IGU) আয়োজনে গবেষণাপত্র পাঠের ডাক এলো। যাত্রাপথে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত ভ্রমণ কাহিনী ‘রাশিয়া চিঠি’ আরও একবার পড়ে ফেললাম। রাশিয়ায় পৌঁছে এক অন্য আমিকে আবিষ্কার করেছি। এরপর, ২০১৬ সালে একই সংস্থার আয়োজনে, ‘চাইনিজ একাডেমি অফ সাইন্স’-এর আমন্ত্রণে পৌঁছে গেলাম বেজিং, সাংহাই এবং সূর্য মন্দিরের দেশ থাইল্যান্ডে। সেই সুযোগে চিনের মহাপ্রাচীরের উপর মহানন্দে হেঁটে নিলাম প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার পথ। ২০১৮ সালে ‘লাভাল বিশ্ববিদ্যালয়’-এর আমন্ত্রণে এবং আয়োজক সংস্থার অর্থানুকূল্যে পৌঁছে গেলাম কানাডায়, উত্তর আমেরিকায়। আবার ২০২২ সালে ‘সরবনে বিশ্ববিদ্যালয়’-এর আমন্ত্রণে পৌঁছে গেলাম ছবির দেশ, কবিতার দেশ ইউরোপের ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডে। এইসব অগণিত বিমান যাত্রায় জানলা সিট থেকে মেঘের আড়ালে বহু নিচে বয়ে চলা পৃথিবীর কর্মকাণ্ড দেখতে দেখতে তৃপ্ত চোখের কোনে শুধুমাত্র একটু ক্লান্তির ঘুম নেমে এলো।
রাশিয়া থেকে ফিরেই দ্বিগুণ উৎসাহে সেপ্টেম্বর মাসেই পাড়ি দিলাম শীতল মরুভূমির দেশ লাদাখের পথে। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল স্টক কাংড়ি এবং গুলেপ কাংড়ির সফল আরোহণ। গভীর রাতে বেসক্যাম্পের বাইরে কনকনে ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে টর্চের আলো আকাশের পথে যতদূর পৌঁছেছিল আমি পাড়ি দিয়েছিলাম আরও দূরে। লাদাখের শীর্ষে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকা হাতে যে বিকট কান্নার রোল আমার স্নায়ু বিন্যাস জুড়ে উঠে এসেছিল তা কোনদিন ভুলবার নয়। এরপর একে একে কাশ্মীর হিমালয়, হিমাচল হিমালয়, দার্জিলিং এবং সিকিম হিমালয় অঞ্চলে নানান দুর্গম পাহাড়ি পথে হেঁটে গেছি বছরের পর বছর।
২০১৯ সালে সোনারপুর আরোহীর আয়োজনে কলকাতা থেকে বকখালি প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ সাইকেলে পাড়ি দেবার সুযোগ এলো। এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল এভারেস্ট অভিযানে মৃত বিপ্লবদার স্মৃতিতে বাংলার পথে প্রান্তরে সবুজ বিপ্লব ডেকে আনা। গাছ লাগানো সিড বল প্রতিস্থাপন, বকখালি বিচ প্লাস্টিক মুক্ত করা ইত্যাদি নানান কাজে জড়িয়ে গেলাম। এখানেই আলাপ হলো সদ্য আফ্রিকা ফেরত সাইকেল আরোহী উজ্জ্বল পালের সঙ্গে। তার কাছেই প্রথম আফ্রিকার গল্প শুনে, স্মৃতিতে ফিরে এলো শঙ্করের কথা, বুনিপের কথা, চাঁদের পাহাড়ের কথা।
বিদেশের মাটি যখন ভৌগলিক পরিচয়ে আমার কাছে প্রায় সড়গড়, ভিনদেশের অজানা শহরের আঁটঘাট আদব-কায়দা খাদ্যাভ্যাস জীবনযাপন যখন আমার নখ দর্পনে, বিমানের জেট লেগের ক্লান্তি এবং বায়োলজিক্যাল ক্লকের নড়চড় যখন প্রায় আয়ত্ত করে ফেলেছি, ভিসা কৌশল টিকিটের মারপ্যাচ এবং পাসপোর্টের ছাড়পত্র যখন আমার কাছে জল ভাত, সমগ্র পৃথিবীর ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান কৌশল যখন আমার করায়ত্ব, হিমালয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ভৌগোলিক আবহাওয়া বিজ্ঞান যখন আমার দৈনন্দিন চর্চায় পরিশীলিত হয়ে উঠেছে তাহলে এবার লক্ষ্য আরও আরও দূরে সপ্তসাগর পেরিয়ে সাত মহাদেশের সপ্তশৃঙ্গ কেন নয় ?
ক্রমশ…
আগের পর্ব পড়ুন:
❤ Support Us