কদিন আগেই ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপিও ধারাবাহিকতা অব্যাহত সুনীল ছেত্রিদের। পাকিস্তানকে ৪–০ ব্যবধানে উড়িয়ে দুর্দান্ত শুরু ভারতের। দুরন্ত হ্যাটট্টিক সুনীল ছেত্রির। বাকি গোলটা উদান্ত সিংয়ের। এই নিয়ে শেষ ৬ ম্যাচে ৫টিতে জয় পেল ভারত।
পাকিস্তান যে ভারতের বিরুদ্ধে তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে না, জানাই ছিল। ভিসা সমস্যা কাটিয়ে মঙ্গলবারই মরিশাস থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছয় পাকিস্তান দল। অনুশীলনের সুযোগ পায়নি। তার ওপর বিমানযাত্রার কাল্তি ছিল। কয়েকজন ফুটবলার তো ম্যাচের আগে বেঙ্গালুরু পৌঁছয়। ক্লান্তি নিয়েই এদিন ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামে পাকিস্তান।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল ভারতের। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে পাকিস্তান রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন সুনীল ছেত্রিরা। ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত। পাকিস্তান গোলকিপারের ভুলে বল পেয়ে যান সুনীল। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ৬ মিনিট পরে সুনীলের গোলেই ব্যবধান বাড়ে। নিজেদের বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন পাকিস্তানের এক ডিফেন্ডার। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। ঠান্ডা মাথায়া ডান পায়ের শটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান সুনীল। এরপর ভারত একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে পাকিস্তান রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখলেও গোল সংখ্যা বাড়াতে পারেনি।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষলগ্নে লাল কার্ড দেখেন ভারতীয় দলের গোলকিপার ইগর স্টিম্যাক। পাকিস্তানের আব্দুলাহ ইকবাল থ্রো করতে গেলে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক তাঁর হাত থেকে বল কেড়ে নেন। স্টিম্যাকের দিকে ছুটে আসেন পাকিস্তানের কোচ ও ফুটবলাররা। দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। রেফারি লাল কার্ড দেখান স্টিম্যাককে। পাকিস্তান কোচকেও হলুদ কার্ড দেখান।
দ্বিতীয়ার্ধেও ভারতের দাপট অব্যাহত ছিল। ৪৯ মিনিটে ৩–০ করার সুযোগ এসেছিল। বাঁদিক থেকে উঠে এসে সেন্টার করেছিলেন আশিক কুরুনিয়ান। ফ্লাইট মিস করেন পাকিস্তান গোলকিপার। বল চলে যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো সাহাল আব্দুল সামাদের কাছে। কিন্তু বল জালে রাখতে পারেননি সামাদ। দ্বিতীয়ার্ধেও মুহুর্মুহু আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে ভারত। ৬৭ মিনিটে জিকসন সিংয়ের হেড গোলে ঢোকার মুখে কোনও রকমে হেড করে বাঁচান পাকিস্তান গোলকিপার হানিফ। ৭৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ভারত। সুনীল ছেত্রিকে বক্সের মধ্যে জার্সি ধরে টেনে ফেলে দেন সুফিয়ান। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সুনীল ছেত্রি। ৮১ মিনিটে ৪–০ করেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা উদান্ত সিং।