Advertisement
  • দে । শ
  • নভেম্বর ২৬, ২০২৪

কুসংস্কারের নামে নারী লাঞ্ছনা রুখতে জয় জোহার মেলায় উদ্যোগ পুলিশের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কুসংস্কারের নামে নারী লাঞ্ছনা রুখতে জয় জোহার মেলায় উদ্যোগ পুলিশের

ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে খুন বা একঘরে করে রাখার মত ঘটনা প্রায়ই ঘটে কালনার আদিবাসী অধ্যুষিত বিভিন্ন গ্রামে। এই ‘নারকীয় প্রথা’ রদ করতে এবার জয় জোহার মেলার মঞ্চটিকে বেছে নিল পুলিশ। পুলিশের উদ্যোগে মঞ্চস্থ হল ‘ডাইন’ নামে একটি নাটক। সেইসঙ্গে কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গড়ার বার্তা ছড়ানো হল এই নাটকের মাধ্যমে।

জ্যোৎস্না রাতে গাছের পাতা নড়ার ঘটনাকে ভূতের ‘লীলা’ বলে মনে করেন বহু আদিবাসী। আবার বজ্রপাতে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে গুণিন-ওঝার কথা শুনে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বা মাকে ডাইনি তকমা দিয়ে কুসংস্কারবশত মারধর করে গ্রামছাড়া করার ঘটনাও ঘটছে। সেইসব ক্ষেত্রে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতেই বিরসা মুণ্ডার ১৫০তম জন্মদিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কালনার নান্দাইয়ে আয়োজিত জয় জোহার মেলার অনুষ্ঠান মঞ্চে ‘ডাইন’ নাটকটি মঞ্চস্থ হল। এমন উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কালনার আইসি সুজিৎ ভট্টাচার্যরা।

এমনিতেই ডাইনি প্রথা নির্মূল করার জন্য পুলিশ, প্রশাসন, বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সচেতনতা প্রচার করা হয়। কিন্তু নাটক যেহেতু ‘লোকশিক্ষে’র মাধ্যম তাই সচেতন করতে এই মঞ্চ বেছে নেওয়া হল বলে জানালেন অজয় সাহা নামে এক অভিনেতা। ওঝা, গুণিন, সাধু, শিক্ষক, বধূ , ছাত্র-ছাত্রীর মতো চরিত্র দিয়ে সাজানো নাটকটির মূল বক্তব্য ছিল, ডাইনি বা জিন-ভূতের কোনও বাস্তব অস্তিত্ব নেই। সবটাই মনগড়া, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতার পরিচায়ক। তাই কাউকে ডাইনি বলে দেগে মারধর বা একঘরে করে রাখা কখনোই কাম্য নয়। নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে সোমবারি মুর্মু, গোপাল হেমব্রমরা বলছিলেন, ‘অনেককিছু বুঝলাম। বোঝা গেল এতদিন যে ঘটনাগুলো হয়েছে, তা ভুলই হয়েছিল। এবার আমরাও সবাইকে বোঝাব যে ডাইনি বা জিন বলে কিছু নেই।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!