Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২

আনিস মৃত্যু : আমতা থানার তিন পুলিশ সাসপেন্ড

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
আনিস মৃত্যু : আমতা থানার তিন পুলিশ সাসপেন্ড

আনিস খান মৃত্যুরহস্যের জট কাটেনি। তদন্তের মধ্যেই মঙ্গলবার সাসপেন্ড করা হল হাওড়ার আমতা থানার দুই পুলিশ কর্মীকে আর একজন হোমগার্ডকে। এই তিনজনেরই সে রাতে আমতা থানা এলাকায় টহলের দায়িত্বে ছিলেন। পুলিশের দাবি, ‘তদন্তে স্বচ্ছতার স্বার্থেই’ এই পদক্ষেপ।

সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে এক জন এএসআই (নির্মল দাস), এক জন কনস্টেবল (জিতেন্দ্র হেমব্রম) রয়েছেন। কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে (হোমগার্ডদের সাসপেন্ড করার বিধি নেই)। এঁরা শুক্রবার থানার খাতায় সই করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন। ওই রাতেই বাড়ির তিনতলার ‘ছাদ থেকে পড়ে’ মৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিসের। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের পোশাকে চার জন সে রাতে বাড়িতে ঢোকেন। আনিসকে তাঁরাই ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার সঙ্গে মঙ্গলবারের সাসপেনশনের সরাসরি কোনও যোগ রয়েছে কি না তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

আনিস হত্যার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন গ্রহণ করল হাই কোর্ট আনিসের মৃত্যুর তদন্ত প্রথমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাওড়া গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ সরকারের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সোমবার এই তদন্ত করার জন্য সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠনের নির্দেশ দেন। তিন সদস্যের সিট-এ রয়েছেন রাজ্যের এডিজি (সিআইডি) জ্ঞানবন্ত সিংহ, ডিআইজি (সিআইডি) মিরাজ খালিদ এবং ব্যারাকপুরের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। ১৫ দিনের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আনিসের মৃত্যু নিয়ে এখনও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই পুলিসের কাছে । অভিযোগ শুক্রবার রাতে আনিশদের বাড়িতে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা কি পুলিশই ছিলেন? দ্বিতীয়ত, যদি না হন, তা হলে সেই আগন্তুকরা কারা? তাঁরা এখন কোথায়? আর যদি পুলিশকর্মীরাই সে রাতে আনিশের বাড়িতে গিয়ে থাকেন তবে তাঁরা কারা? কী কারণেই বা গিয়েছিলেন? তূতীয়ত, আনিশকে কি ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তর তদন্তকারীদের থেকে মেলেনি । যার ফলে আনিসের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!