Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ৭, ২০২৩

দিল্লির পর এবার কলকাতায়, তৃণমূলের কৃষি ভবন অভিযানকে “নাটক” ও “মিথ্যাচার” বলে অভিযোগ নিরঞ্জন জ্যোতির

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দিল্লির পর এবার কলকাতায়, তৃণমূলের কৃষি ভবন অভিযানকে “নাটক” ও “মিথ্যাচার” বলে অভিযোগ নিরঞ্জন জ্যোতির

দিল্লির পর এবার কলকাতায় এসে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বললেন, “তৃণমূল নেতৃত্ব যে দাবি করছে তা অসত্য, ভিত্তিহীন। আমি ওদের জন্য ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ছ’টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সময় দেওয়ার জন্য আমার কাজ ফেলে, আমার মন্ত্রকে অপেক্ষা করেছি। তৃণমূল প্রথমে বলেছে ৫জন আসবে, তারপর বলেছে ১০ জন আসবে তারপর বলেছে জনতাকে নিয়ে আসবে। আমি জনতার সঙ্গে বসতে রাজি হয়ইনি। আমি বলেছি আগে প্রশাসনিক স্তরে কথা হোক। তার পর জনতার সঙ্গে কথা হবে। তাতে তৃণমূল নেতৃত্ব রাজি হয়নি। তার পর আমি ৪ নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে গেছি, ওই গেট দিয়েই আমি মন্ত্রকে আসি। মহুয়া মৈত্র যে বলছেন আমি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছি, সেটা সত্যি নয়।”

এর আগে নিরঞ্জন জ্যোতি দিল্লি থেকেও ৩ তারিখের তৃণমূলের প্রতিনিধিদের তাঁর সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচিকে “নাটক”, “তামাশা” বলে কটাক্ষ করেছিলেন, আমি দেখা করতে চেয়েছিলাম, তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের মত বারবার বদল করেছে, নিজেরাই দেখা করেনি। শনিবার কলকাতায় এসে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সেই একই বক্তব্যে স্থির থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুললেন তাঁর সঙ্গে দেখা করার বিষয় নিয়ে। বললেন, “ওরা নাটক করতে এসেছিল।”

নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, “কংগ্রেস আমলে ১০০দিনের কাজ ও ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাংলা যে টাকা পেয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার আসার পরে বাংলার সরকার তার চাইতে ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় অনেক অনেক বেশি টাকা পেয়েছে। অথচ বাংলায় এই টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে।”

এদিন শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পাশে বসে বলেন, “১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় বাংলার সরকার দুর্নীতি করেছে। ১৭ লক্ষ মানুষের নাম আবাস যোজনা থেকে বাদ গেছে। আমরা এর পর ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনা নিয়ে বিজেপি কলকাতায় আন্দোলন করব। ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেছিলেন, “আমরা কেন্দ্রের টাকা চাই না। এখন টাকা চেয়ে দিল্লি, কলকাতায় চোখের জল, নাকের জল এক করছেন কেন? কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাংলায় এসেছেন এটা বলতে যে কৃষি ভবনের কোনও পিছনের দরজা নেই। পিসি মিথ্যা বলেন সবাই জানে। কার্বাইড দিয়ে পাকানো ভাইপো যে মিথ্যা কথা বলে সেটা প্রমাণ করতেই নিরঞ্জন জ্যোতি কলকাতায় এসেছেন। তিনি নাটক করতে আসেননি।”

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সল্টলেকের বিজেপি দফতরে শুভেন্দু অধিকারী , বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!