Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • মে ৪, ২০২২

ইদের আলিঙ্গনে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব ।

হোয়াইট হাউসে জো বাইডেন: ইসলাম শান্তির ধর্ম । তবু দেশে দেশে মুসলিমরা আক্রান্ত । অভয়বার্তায় মমতা, ভয় নেই আমরা এক হয়ে থাকব ।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ইদের আলিঙ্গনে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব ।

মক্কা থেকে ওয়াশিংটন, দিল্লি থেকে ইসলামাবাদ, ইস্তাম্বুল থেকে বেইজিং, কাঠমাণ্ডু থেকে ঢাকা—এরকম বিশ্বের সব দেশে সব অঞ্চলে শান্তিতে ইদ পালিত হল মঙ্গলবার । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্র প্রধান পর্যন্ত—সবাই সমাবেশে সামিল হয়ে ইসলামের শান্তির বার্তাকে উঁচিয়ে ধরলেন । বয়তুল মোকারম মসজিদে পাঁচ দফায় নামাজ পড়েছেন ঢাকাবাসীরা । কলকাতার রেডরোড, নাখোদা মসজিদ,
টিপু সুলতান মসজিদসহ বড় বড় প্রার্থনা গৃহ ও খোলা ময়দানে উপাসনা করতে দেখা গেল লক্ষ লক্ষ মানুষকে । বাংলাদেশ বৃষ্টিতে ভিজল আর মানুষের হৃদয় ভিজে উঠল উৎসবের আনন্দে। কলকাতায় রেড রোডের সমাবেশে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝলমলে রোদ দেখে বললেন—আল্লার আশীর্বাদ। ওখানে দাঁড়িয়েই তিনি প্রকারন্তরে ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে আনলেন—দেশের পরিস্থিতি ঠিক নেই । তবুও আপনাদের ক্ষতি হবে না। বাংলায় সব কিছুই ঠিক থাকবে । মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের আগে সংক্ষেপে তাঁর বক্তব্য পেশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়—বাংলায় সম্প্রীতির মাটি, এখানে সবাই আমরা একসঙ্গে বাস করি। সামাজিক ঐক্যকে জড়িয়ে থাকে ।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তবের সঙ্গে অদ্ভুত ভাবে মিলে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্বেগ আর ইসলাম প্রীতি। হোয়াইট হাউসের অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিশ্বের সর্বত্র মুসলিমদের উপর হামলা হচ্ছে । আমেরিকাকে শক্তিশালী করে তোলার পরিসরে মুসলিমদের অবদান অসামান্য । তা সত্ত্বেও নানা স্তরে তাঁদের সামাজিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে । প্রেসিডেন্টের দাবি, তিনিই প্রথম একজন মুসলিম ব্যক্তিকে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ দূত পদে নিয়োগ করেছেন । যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আমরা লক্ষ করছি, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বহু মানুষ বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন । চিনের উইঘুর আর মিয়ানমারের রহিঙ্গারা তাদের অন্যতম । এদের কথা হৃদয় দিয়ে ভাবতে হবে । আমেরিকাই একমাত্র দেশ যে ধর্ম ও ভৌগলিক অবস্থানের নিরিখে গড়ে ওঠেনি। যার নির্মাণে আদর্শ সর্বাগ্রে বিবেচ্য । বাংলাদেশের ঢাকায় সকাল ৮ থেকে জনস্রোত জাতীয় ইদগার দিকে ছুটতে থাকে । উপচে পড়া সমাবেশে যোগ দেন দেশের প্রধান বিচারপতী হাসান ফয়েজ সিদ্দিকি এবং মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা । আলিঙ্গনে তাঁদের বুক মিশে যায় প্রান্তিক-অপ্রান্তিকের বাহুবন্ধনে । কলকাতায় ইদের বৈচিত্র আরও বেশি । উপাসনা শেষে পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে পড়েন মন্ত্রী, পুর সদস্য আর সমাজের অসংখ্য চেনা মুখ । রেডরোডের সমাবেশ থেকে সোজা পার্কসার্কাসের কড়েয়া রোডে, কয়েক বছর আগে নিহত রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী ছুটে যান । তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করেন । মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চেতলায় সপরিবারে সৌহার্দ বিনিময়ে দেখা গেল মহা নাগরিক ফিরহাদ হাকিমকে । আলিপুর এলাকায় মীরের সঙ্গে হঠাৎ অরূপ বিশ্বাসের দেখা। প্রিয় রেডিও জকিকে বিশ্বাসিত আবেগে জড়িয়ে ধরলেন জনপ্রিয় মন্ত্রী । পাক সার্কাসে সহজিয়া পোশাক পরে ঘুরলেন বাবুল সুপ্রিয়, মালা রায়।
পূর্ব কলকাতায় বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় সুশান্ত কুমার ঘোষ ব্যস্ত ছিলেন দিনভর । ঘরে ঘরে তাঁর উপস্থিতি ছড়িয়ে দেয় সমাজ প্রেমের অন্যরকম বার্তা । গোটা রমজান মাস জুড়ে ইফতার পার্টি ও উপহার সামগ্রী বন্টনের আয়োজনে তাঁর আয়োজিত কল্যাণবোধ অন্যরকম মাত্রায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। শান্তি আর সম্প্রীতি স্থাপনে তাঁর সতর্ক, স্বতঃস্ফূর্ত অভিপ্রায় জনমনের নবীন ভরসা হয়ে উঠল । এখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ নির্বাচিত জনসেবকের অনন্য প্রতীকের ভূমিকা পালন করলেন পূর্ব কলকাতার ১০৭ ওয়ার্ডের পৌরপিতা সুশান্ত ।

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!