- স | হ | জ | পা | ঠ
- মে ১৭, ২০২৩
চ্যাটজিপিটি স্রষ্টার আগাম সংকেত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপটে কাজ হারাবে হাজার হাজার ‘বোকা মানুষ’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই আগামী দিনে শাসন করবে কাজের বাজার। গুরুত্ব হারাবে মানব মেধা। সম্প্রতি, মার্কিন সেনেটের একটি কমিটিতে এমনই বক্তব্য পেশ করলেন চ্যাট জিপিটের স্রষ্টা ওপেন এআই সংস্থার সিইও স্যাম অল্টম্যান। তাই তার পরামর্শ, প্রযুক্তির অপব্যবহার রুখতে কঠোর সরকারি নজরাদারি প্রয়োজন। তবেই অর্থনীতিতে ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব।
সেনেটের সদস্যদের কাছে স্যাম জানান, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ছাপাখানার মতোই যুগান্তকারী এক প্রযুক্তি। তবে ভয়ের কারণও রয়েছে যথেষ্ট। তিনি স্বীকার করেছেন যে, চ্যাটবটগুলির গুজব ছড়াতে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনে বহুল ব্যবহার গণতন্ত্রকে সঙ্কটের মুখে ফেলতে পারে বলে জানান তিনি।ডেমোক্র্যাট দলের এক সেনেটর বলেন, ভবিষ্যতে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আধিপত্য চাই না। ওপেন এআই সংস্থার উপর আরও নিয়ন্ত্রণ স্থাপন প্রয়োজন।কমিটির সদস্যরা মনে করে আইনের কাছে সংস্থার জবাবদিহি করার পথ আরও প্রশস্ত হোক ।
নব নব প্রযুক্তি নতুন আশা আকাঙ্ক্ষা ও আশঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে আসে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও তার ব্যতিক্রম নয়। এতে বহু কাজ যেমন সহজে হয়ে যায়। তেমনি এর নেতিবাচক দিকটিকে কখনো উপেক্ষা করা যায় না। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় প্রকাশ, এ আই প্রয়োগের ফলে ৭৮০০জন কর্মচ্যুত হতে পারেন। বিশ্বের বহু সংস্থাই তাদের বর্তমান কর্মী সংখ্যা হ্রাস করতে উদ্গ্রীব। এক্ষেত্রে চ্যাট জিপিটি র মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ তাঁদের পছন্দের বিকল্প। সেক্ষেত্রে যদি এ প্রযুক্তিতে ব্যাপক প্রয়োগে রাশ টানা না হয়, বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব তো পড়বেই, মানব অস্তিত্বও সঙ্কটের হাত থেকে নিস্তার পাবে না।
❤ Support Us