- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ২৭, ২০২৩
গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুন, অভিযোগ গোষ্ঠী কোন্দলের !
জয়নগর, আমডাঙা, জগদ্দলের পর এবার গোসাবায় খুন হলেন তৃণমূল নেতা মুছাক আলি মোল্লা। তৃণমূল নেতার এই খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। নিহত তৃণমূল ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় ৮৪ নম্বর বুথ সভাপতি। মুছাক আলি মোল্লাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতের বোনের দাবি, তাঁর দাদা মুছাক আলি মোল্লাকে ডেকে নিয়ে পথশ্রীর প্রকল্পের রাস্তার কাজে কম সিমেন্ট দেওয়া নিয়ে স্থানীয়রা নালিশ জানায়। কেন কম সিমেন্ট দিয়ে রাস্তা তৈরী করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়, তারপরই মুছাক আলি মোল্লাকে বেশ কয়েকজন মিলে বেধড়ক মারে, নদীতে চুবিয়ে রাখে, তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। মুছাক আলি মোল্লা বোন জানিয়েছেন, তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠী তাঁর দাদাকে ডেকে নিয়ে খুন করেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাধানগর-তারানগর এলাকার ৮৪ নম্বর বুথ সভাপতি মুছাক আলি মোল্লার কাছে অভিযোগ আসে পথশ্রী প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকা থেকে মুছাকালিকে রাস্তা তৈরির কাজ সঠিক ভাবে হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়ে সোমবার সকালে ডাকা হয়। তারপরই তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠীর বাকিবুল, জাকিররা মুছাক আলি মোল্লাকে পিটিয়ে খুন করে। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, “তাঁর স্বামী মাদার তৃণমূল আর সুব্রত মণ্ডল ও তাঁর সঙ্গীরা যুব তৃণমূল। যুব তৃণমূলের গোষ্ঠীই তাঁর স্বামীকে খুন করেছে।” এদিকে স্থানীয় বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, “এটা কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নয়। যে এজেন্সী রাস্তার কাজ করেছে তাদের সঙ্গে গোলমালের জের। আমি চাই প্রকৃত দোষীরা ধরা পড়ুক।” সওকত মোল্লা বলেছেন, “এই খুন করেছে বিজেপি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যারা বিজেপির পতাকা নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তারাই মুছাক আলিকে খুন করেছে। যত দিন যাচ্ছে, ভোট এগিয়ে আসছে, ততোই তৃণমূলের কৰ্মীনেতাদের উপর আক্রমণ বাড়ছে।”
সোমবার সকালে মুছাক আলি মোল্লাকে লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেদম পেটানো হয়। মার্ খেয়ে গুরুতর জখম হলে তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এদিন বিকেলে মৃত্যু হয় মুছাক আলি মোল্লার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ।
❤ Support Us