- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ১, ২০২৩
“এথিক্স কমিটির প্যানেলের ফৌজদারি এখতিয়ার নেই”, শুনানির আগে হুঙ্কার মহুয়ার
বিরোধী বিজেপি নেতাদের ধারণা খাড়ার মুখে ঝুলে রয়েছে তৃণমূলের কৃষ্ণগড়ের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ। মহুয়ার বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার মতো মারাত্মক কাজ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে ২ নভেম্বর হাজির হচ্ছেন মহুয়া মৈত্র। তার আগে মহুয়া বলেন, “এথিক্স কমিটি আমার চুলও ছুতে পারবে না। আমি এথিক্স কমিটির কাছে যাবো এবং ওদের দুরমুশ করব। আগামিকাল, ২ নভেম্বর এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেবেন মহুয়া মৈত্র। তবে একইসঙ্গে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি, যার থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে লোকসভার এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যানকে চিঠিতে আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল সাংসদ। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, “ফৌজদারি অভিযোগের অর্থাৎ অপরাধমূলক তদন্তের অধিকার এথিক্স কমিটির নেই। আমি যদি সত্যিই টাকা নিতাম তাহলে বিজেপি আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করে আমায় জেলে ঢোকাত। ওরা চাইছে আমায় শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করে সংসদে হাজির হতে না দিতে।”
বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র লিখেছেন, ২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার তিনি এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেবেন প্যানেলের নির্দেশ মতো। দুই পাতার চিঠি শেয়ার করে মহুয়া দাবি করেন, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি যিনি তথাকথিত হলফনামায় দাবি করেছেন যে মহুয়ার বিরুদ্ধে, যে সংসদের লগ ইন আইডি মহুয়া তাঁকে দিয়েছিলেন সংসদে প্রশ্ন করার জন্য, তাঁকেও যেন প্রশ্ন করা হয়।
Since Ethics Committee deemed it fit to release my summons to the media I think it is important I too release my letter to the Committee before my “hearing” tomorrow. pic.twitter.com/A8MwFRsImk
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) November 1, 2023
তিনি টুইটে লেখেন, “যেহেতু এথিক্স কমিটি মনে করেছে যে আমাকে পাঠানো সমন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যায়, তাই আমার মনে হয় আগামিকালের শুনানির আগে কমিটিকে পাঠানো আমার চিঠিও জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত।”
হিরানন্দানিকে প্রশ্ন করার প্রসঙ্গে মহুয়া লেখেন, “আমি অন রেকর্ড বলছি যে কমিটি যেন আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই ও ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে মুখোমুখি প্রশ্ন করে। কমিটি আমার এই দাবি মানবে কি না, তাও যেন লিখিতভাবে জানানো হয়।”
একইসঙ্গে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরির ইস্যুতে প্রিভিলেজ এবং এথিক্স কমিটির পরস্পর বিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া মৈত্রর বক্তব্য, রমেশ বিদুরিকে ঘৃণামূলক মন্তব্যের তদন্তে তলব করা হলেও, পরে তাঁর ইচ্ছামতো দিনেই হাজিরা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি আসেননি, পরে তাঁকে আর ডাকাও হয়নি, এসব কাজ সংসদের “ডবল স্ট্যান্ডার্ড”, বলেই অ্যাখ্য়া দেন তিনি।
সর্বোপরি এথিক্স কমিটির এই ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগের ঘটনায় আদৌ আইনত তদন্তের এক্তিয়ার রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া।
❤ Support Us