- স | হ | জ | পা | ঠ
- নভেম্বর ২৩, ২০২৩
মহাকাশ থেকে বিশ্বে প্ৰথম লেজার বার্তা, নজির গড়ল নাসার মহাকাশযান সাইকি
মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অনন্য নজির। এই প্রথম মহাকাশশূন্য থেকে ভেসে এল লেজার বার্তা। যা মহাকাশ বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী ঘটনা। মহাকাশশূন্য থেকে লেজার বার্তা আসায় আপ্লুত নাসার বিজ্ঞানীরা।
১৩ অক্টোবর ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সাইকি নামে একটা মহাকাশযান পৃথিবী থেকে পাড়ি দেয় মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে সূর্যকে প্রদক্ষিণরত একটা গ্রহাণুর দিকে। ওই গ্রহাণুটিতে নানারকম খনিজ রয়েছে। সেই খনিজ সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিতেই সাইকিকে পাঠানো হয়েছে। চাঁদকে অতিক্রম করে সাইকি এখন ওই নির্দিষ্ট গ্রহাণুর দিকে এগিয়ে চলেছে। গ্রহাণুর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পৃথিবীতে লেজার–বিম পাঠিয়েছে সাইকি। এই মহাকাশযানটি ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার অবজারভেটরিতে হেল টেলিস্কোপের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে।
পৃথিবীর ১৬ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্ব থেকে লেজার বিমযুক্ত বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছে সাইকি। নাসার (NASA) মতে এটা পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যে দূরত্বের চেয়ে ৪০ গুন বেশি। এই লেজার বিম পৃথিবীতে আসতে সময় নিয়েছে ৫০ সেকেন্ড। নাসার প্রযুক্তি পরিচালক ট্রুডি কর্টেজ বলেছেন, ‘প্রথম আলো অর্জন করাটা ডিপ স্পেস অপটিক্যাল কমিউনিকেশনস মাইলফলক গুলির মধ্যে অন্যতম। যা বৈজ্ঞানিক তথ্য, হাই ডেফিনেশন ইমেজ এবং মানবতার পরবর্তী বিশাল লাভের সমর্থনে ভিডিও স্ট্রিমিং পাঠাতে সক্ষম।’ উল্লেখ্য কমস লিংকের সফল প্রতিষ্ঠা ‘প্রথম আলো’ নামে পরিচিত।
নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির ডিপ স্পেস অপটিক্যাল কমিউনিকেশনের প্রজেক্ট টেকনোলজিস্ট অভি বিশ্বাস বলেন, ‘প্রথম আলো প্রাপ্তি একটা অসাধারণ কৃতিত্ব। সাইকিতে ডিপ স্পেস অপটিক্যাল কমিউনিকেশনের ফ্লাইট ট্রান্সসিভার থেকে গভীর স্থানের লেজার ফোটন সফলভাবে গ্রাউন্ড ইকুইপমেন্ট দ্বারা শনাক্ত করা হয়েছে।’
সাইকি মহাকাশযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল অনন্য ধাতব গ্রহাণু অন্বেষণ এবং অধ্যয়ন করা, গ্রহ গঠনের ইতিহাস এবং মূল গতিবিদ্যার অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করা। পরীক্ষাটি শেষ গন্তব্যে যাওয়ার পথে ক্রমবর্ধমান দূরবর্তী অবস্থান থেকে লেজার সংকেত প্রেরণ এবং গ্রহণ করে দুই বছর স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মহাকাশযানটি ২০২৯ সালে গ্রহাণুতে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং তারপরে কক্ষপথে এগিয়ে যাবে।
❤ Support Us