- ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
- জুন ২, ২০২৪
ভোর ভয়ি। পর্ব ৮ : বঙ্গবাসী কলেজের দিনগুলো

অলঙ্করণ: দেব সরকার
বায়োস্কোপের বাকসো। রঙের নকশা চটে খসে এখানে-ওখানে বেরিয়ে পড়েছে মৃত্যু-প্রস্তাব। বাকসোর গোল জানালার ঢাকনা কবে যেন হারিয়ে গিয়েছে। সেখানে তাকিয়ে আছে একজোড়া চোখ। চোখের পর্দায় আসে শূন্য খেয়াঘাট, দূরে দূরে সবল ডানার চিল, অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র, চাহে কোই মুঝে জংলি কহে, আরও কত রক্ত চাই তব প্রীতি তরে, ধানের ক্ষেতে মশাল আগুন, লকআপের আর্তনাদে বাতাস কাঁপে, শিক্ষকদের চেয়ারে ভাঙনের শব্দ, রং ও রেখায় জাগে পুরাণপ্রতিমা, উন্নয়ন আর উৎসব শুষে খায় জলাভূমি, কুয়াশার ওপারে পলিথিনে মোড়া চাঁদ, জোড়া চোখ ঘটনার ঢেউয়ে ঢেউয়ে সাঁতরায়, দূরে কোথাও আগুনবরণ আকাশে বাজে ‘ভোর ভয়ি’।
♦ অষ্টম পর্ব ♦
প্রেসিডেন্সি কলেজ দেখে ভয় পেয়েছিলাম৷ পালিয়েছিলাম৷ বঙ্গবাসী কলেজকে নিজের জায়গা মনে হল৷ এখানে আমি স্বচ্ছন্দ প্রথম দিন থেকে৷
আজ ভাবি, কেন এমন হয়েছিল? শুধুই আমার হীনমন্যতা৷ প্রেসিডেন্সি বিল্ডিং এবং ছাত্রছাত্রীদের চেহারায় পোশাকে বড়ো ঘরের ছাপ দেখে বস্তিবালক নিজেকে বেমানান ভেবেছিল, এটা ঘটনা৷ কিন্তু এটাই কি সব?
বঙ্গবাসী কলেজে কেন সে স্বচ্ছন্দ বোধ করল? যে মানুষটি তাকে বাংলা অনা্র্স পড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং সামনে বসিয়ে অ্যাডমিশন ফর্ম ভরতি করিয়েছিলেন, তিনি একেবারে সাদামাটা, গায়ের রং বেশ কালো, তেল-জবজবে মাথা, হালকা সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরনে, তাঁর কথায় সে পেয়েছিল বাঙাল টান, তার ঘর ও পাড়ার ভাষার ছায়া, ওই মানুষটির মধ্যে সে পেয়েছিল আপনার জন৷ পরে জেনেছি, তিনি অধ্যাপক, নাম জীবনবল্লভ চৌধুরী৷ তিনি আমাদের পড়িয়েছেন শাক্ত পদাবলি৷ কেমন পড়াতেন? গল্প করতেন খুব, বলতেন নিজের ছাত্রজীবনের কথা, পূর্ববঙ্গের কথা, দেশ ছেড়ে আসার কথা৷ সত্যি বলতে কী, শাক্ত পদাবলির সাহিত্য-মর্ম জীবনবল্লভ চৌধুরীর পড়ানোর মধ্য দিয়ে ছুঁতে পারিনি৷ তাঁর পড়ানো এতটাই নীরস ছিল যে আমরা ক্লাস এড়িয়ে চলেছি একটা সময়৷ যে মানুষটির হাত ধরে বঙ্গবাসী কলেজে আমার আসা, অল্পদিনের মধ্যে তাঁর কাছ থেকে সরে এলাম৷ তিনি আমাদের ‘স্বর্ণলতা’ও পড়িয়েছিলেন৷ অভিজ্ঞতা অন্যরকম নয়৷
কলেজে আসার পথে, তা সে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশ দিয়ে আসি, বা শেয়ালদা মোড় থেকে বাঁ-দিকের গলিপথ ধরে, বা বউবাজারে নেমে ডালহৌসি-মুখী ডানদিকের ফুটপাথ ধরে খানিকটা এগিয়ে চোরাবাজারের ভেতর দিয়ে— জায়গাটা ঘিঞ্জি, দু-পাশে সার সার দোকান, পথজুড়ে বাজার আর বাজারি— এই অনভিজাত পরিবেশটাই আমাকে টেনেছিল আমাদের বস্তিপাড়ার সাদৃশ্যে৷ সাজানো-গোছানে বড়োলোকি জায়গাকে হয়তো ভয় পেয়েছি ছোটোবেলা থেকে, অস্বস্তিকর ভেবেছি, যা আজও পাই, ভাবি৷
রেজাল্ট বেরোলে দেখা গেল ইংরেজির নম্বর ৫০ শতাংশের নীচে৷ ফলে ইংরেজি নিয়ে পড়া হল না৷ বাবা চেয়েছিল৷ ইতিহাস, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সংস্কৃত নিয়ে পড়া যেত৷ কেন জানি আঁকড়ে ধরলাম বাংলা৷ টুইশন ও মোটা মোটা বইয়ের খরচের কথা ভেবে কি?
আরও একটা কারণ হতে পারে, বন্ধু শঙ্কর বণিক বঙ্গবাসী স্কুলের ছাত্র ছিল৷ ওদের আর আমাদের ঘর রাস্তার এপার ওপার৷ ওর কাছে বঙ্গবাসী স্কুলের ইতিহাস শুনেছি কিছুটা৷ যেখানে ব্রিটিশ-বিরোধী সংগ্রাম ও দেশপ্রেমের কথা ছিল৷ একটা স্বাদেশিক বাতাস৷ হতে পারে এই ইতিহাস আমার তরুণ মনকে আচ্ছন্ন করেছিল৷
আজ, বেলাশেষে পৌঁছে স্পষ্ট বুঝতে পারি, বঙ্গবাসী কলেজে পড়বার সেদিনের সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিল না৷ কূপমণ্ডূক মন আর অনর্থক আবেগ দ্বারা চালিত হয়েছি৷ অভিভাবক বলতে বাবা, তার কথা শুনতাম না, বাবাও হয়তো আমাকে নিয়ে ভাবা থেকে রেহাই পেতে চাইছিল৷ হায়ার সেকেন্ডারিতে ইংরেজি পরীক্ষা দিলাম সিকবেড-এ৷ চালের ভয়াবহ আকালে দিনের পর দিন আটার রুটি আর গমের খিচুড়ি খাওয়া সহ্য হয়নি৷ বাংলা পরীক্ষা দিয়ে ঘরে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম৷ তারপর আর মাথা তু্লতে পারিনি৷ ওঠবার চেষ্ট করলে মাথা ঘুরিয়ে শুয়ে পড়ি৷ সারারাত ছটফট করেছি, ভাঙা ভাঙা ঘুম৷ পরদিন ভোরে গোবরার বামুনপাড়ার অমিয় ডাক্তারের (অমিয় চট্টোপাধ্যায়) মিকসচার নিয়ে এল বাবা৷ দু-দাগ পড়তে মাথা তোলা গেল৷ ট্যাক্সি করে পরীক্ষা দিতে গেলাম উত্তর কলকাতার বিশুদ্ধানন্দ সরস্বতী বিদ্যালয়ে৷ রেজাল্ট বেরোলে দেখা গেল ইংরেজির নম্বর ৫০ শতাংশের নীচে৷ ফলে ইংরেজি নিয়ে পড়া হল না৷ বাবা চেয়েছিল৷ ইতিহাস, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সংস্কৃত নিয়ে পড়া যেত৷ কেন জানি আঁকড়ে ধরলাম বাংলা৷ টুইশন ও মোটা মোটা বইয়ের খরচের কথা ভেবে কি? যাই হোক, বঙ্গবাসী কলেজে পড়ার সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিল না, এই জন্যে বলেছি যে এই কলেজে আমাদের বিষয়ে শিক্ষাদানের পরিকাঠামো বেশ দুর্বল ছিল সেদিন৷
ছাত্র আন্দোলনে অশান্ত হয়েছে প্রেসিডেন্সিও সেইসময়৷ নিয়মিত ক্লাস হতে পেরেছে কি? এইসব প্রশ্নের জবাব পেয়েছি আমার মতো করে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেসিডেন্সির তিন ছাত্রের সহপাঠী হতে পেরে৷ অরিজিৎ মিত্র, অলক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বপনকুমার দে৷ নকশালবাড়ি আন্দোলনে অংশ নিয়ে অরিজিৎ জেল খেটেছে, পুলিশের হাতে চরম নিগৃহীত হয়েছে৷ নির্দিষ্ট বছরে পরীক্ষায় বসতে পারেনি৷ পরে সিপিআই এমএল লিবারেশন-এর রাজ্য নেতা হয়েছিল৷ সম্পাদনা করত ‘নবান্ন’ পত্রিকা৷ অলক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রখ্যাত গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই৷ পরে আইনজীবী হয়
নাম বলছি না, যে অধ্যাপক ‘পঞ্চভূত’ পড়িয়েছেন, ‘কাব্য জিজ্ঞাসা’ পড়িয়েছেন, তিনি সামনে বই রখে রিডিং পড়ে যেতেন আর ফাঁকে ফাঁকে যে ব্যাখ্যা দিতেন তা অস্পষ্ট, রসকষশূন্য৷ যিনি সাহিত্যের ইতিহাস পড়াতেন, বয়োভারে অশক্ত তিনি কোনোক্রমে ক্লাসরক্ষা করতেন৷ শুধু সাল-তারিখ আর নামের তালিকা৷ সাহিত্যের ‘স’ নেই৷ অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (ভট্টাচার্য হতে পারে, স্মৃতি বুড়ো হয়ে গেছে) পড়াতেন দারুণ৷ ওঁর শব্দচয়ন, বিন্যাস ও বলার ভঙ্গিমায় আমরা সম্মোহিত৷ বই ছাড়া অনর্গল বলে যেতেন৷ তাঁর বিষয় ছিল আধুনিক সাহিত্য৷ সিলেবাস কথিত আধুনিক৷ পড়াতে পড়াতে তিনি সিলেবাসের বেড়া টপকে এপারে টলে আসতেন৷ কিন্তু এই স্যারকে আমরা পেতাম কম৷ তিনি দলীয় রাজনীতিতে ভীষণ ব্যস্ত৷ প্রায়ই ক্লাস নিতে পারতেন না৷ যেদিন নিতেন, এক ঘণ্টায় ঝড়ের গতিতে চারদিনের পড়া পড়িয়ে দিতেন৷ কলেজের হস্টেল সুপারের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি৷ হস্টেলে তাঁর ঘরের বাইরে বারান্দায় ক্লাস করেছি রবিবার বা কলেজে ছুটি চলাকালে৷ বিশ্বনাথবাবু সিপিআইয়ের বিধায়ক হয়েছিলেন, খুব সম্ভব বেহালা কেন্দ্র থেকে৷ ‘অন্নদামঙ্গল’ পড়াতেন অধ্যাপক গৌরমোহন মুখোপাধ্যায়৷ সৌম্যকান্তি সদাপ্রসন্ন৷ পরিপাটি পোশাক ও কেশবিন্যাস৷ সেজেগুজে থাকতে ভালোবাসতেন৷ ছাত্রদের প্রিয় শিক্ষক৷ তাঁকে প্রশ্ন করা যায়৷ এবং প্রশ্নের উত্তর পাবার জন্যে তাঁর বাড়ি যাওয়া যায়৷ আমরা গিয়েছি৷ যতদূর মনে পড়ে, পাইকপাড়ায়৷ তবে টেক্সটের বাইরে গিয়ে জানার আগ্রহ তাঁর কাছে তেমন সাড়া পায়নি৷ নোট পেয়েছি গোছানো৷ মনে থাকবে, আজও ছবির মতো মনে আছে, অধ্যাপক অরুণকুমার বসুর পড়ানো৷ কলেজের ছাদে গুটিকয় ঘর, মাথায় অ্যাজবেস্টস, আমরা বলতাম ‘সেমিনার ঘর’, এইখানে অনার্সের ক্লাস হত, তারই একটিতে ধুতি-পাঞ্জাবি পরা এক চঞ্চল যুবক ভাষাতত্ত্বপড়াচ্ছেন, তিনি চেয়ারে বসেন না, কেবলই হাঁটেন, ছোট্ট ঘরে দু-পাশে বেঞ্চের মাঝখানে অপরিসর স্পেস দিয়ে হাঁটাহাঁটি করেন, পালি-প্রাকৃতের শরীর ভেঙে ভেঙে বাংলা শব্দ জন্ম নেয়, হাঁটতে হাঁটতে চলে যান ব্ল্যাকবোর্ডের কাছে, বাংলাভাষার জন্মবৃত্তান্তের নকশা রচিত হয় বোর্ডের কালো জমিতে, ছাদে হাওয়া খেলা করে, বৃষ্টি ও জলবাতাস জানালায়, স্যারের দীঘল চোখ আমাদের দেখে, আজও, আমরা জেনেছি তাঁর আর-একটি নাম আছে, ভাস্কর বসু, তাঁর আর-একটি পরিচয় আছে, তিনি গীতিকার, লিখেছেন ‘সোনার হাতে সোনার কাঁকন কে কার অলংকার’৷ এমন অধ্যাপক আরও পেতাম যদি সেদিন৷ শুনেছি, এই সেমিনার রুমগুলো অনার্সের ক্লাসের জন্য নির্ধারিত ছিল৷ আমাদের বিভাগের অন্য অধ্যাপকরা তিনতলা সিঁড়ি ভাঙতে পারতেন না৷
প্রেসিডেন্সিতে পাওয়া যেত কি বিদ্যার্জনের উন্নততর পরিবেশ? ছাত্র আন্দোলনে অশান্ত হয়েছে প্রেসিডেন্সিও সেইসময়, কয়েকবছর৷ নিয়মিত ক্লাস হতে পেরেছে কি? এইসব প্রশ্নের জবাব পেয়েছি আমার মতো করে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেসিডেন্সির তিন ছাত্রের সহপাঠী হতে পেরে৷ অরিজিৎ মিত্র, অলক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বপনকুমার দে৷ নকশালবাড়ি আন্দোলনে অংশ নিয়ে অরিজিৎ জেল খেটেছে, পুলিশের হাতে চরম নিগৃহীত হয়েছে৷ নির্দিষ্ট বছরে পরীক্ষায় বসতে পারেনি৷ পরে সিটি সাউথে অধ্যাপনা করে৷ সিপিআই এমএল লিবারেশন-এর রাজ্য নেতা হয়েছিল৷ সম্পাদনা করত ‘নবান্ন’ পত্রিকা৷ অলক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রখ্যাত গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই৷ পরে আইনজীবী হয়, শুনেছি৷ স্বপনকুমার দে অধ্যাপনার পেশা গ্রহণ করে৷ তিনজনই লেখাপড়ায় ব্রিলিয়ান্ট৷ ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব ওরা লেখাপড়া থেকে দূরে রেখেছে, রাখতে পেরেছে৷
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবাসীর সহপাঠীদের একজনকেও পাইনি৷ ওরা অন্য কোথাও পড়েছে কিনা জানা নেই৷ এই মুহূর্তে তিন সহপাঠীর নাম মনে পড়ছে৷ বিমল মিস্ত্রি, রমাপদ গায়েন, মনোরঞ্জন হাজরা৷ ট্রেন ধরবার তাড়া থাকায় এই বন্ধুরা ক্লাসের বাইরে কখনওই কোনো আলোচনা বা আড্ডায় থাকতে পারত না৷ শুনেছি, বিমল মিস্ত্রি সিপিআইএম-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক হয়েছে৷ রমাপদ আর মনোরঞ্জনের কোনো খবর নেই৷ দুটো কথা এখানে বলা দরকার, এক. বঙ্গবাসীতে কয়েকজন সহপাঠী মাঝপথে কলেজে আসা বন্ধ করে দেয়৷ তারা লেখাপড়া থেকে ছিটকে যেতে বাধ্য হয়েছিল কিনা জানা নেই৷ হতে পারে, কোথাও রোজগারের সংস্থান করে নাইট ক্লাসে ভরতি হয়েছে৷ এরা বেশিরভাগই দরিদ্র বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের৷ দুই. ক্লাসের মাঝপথে টুক করে কেটে পড়া ছিল কিছু ছাত্রের রোজকার ব্যাপার৷ এরা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার দূরের স্টেশন থেকে আসত৷ পরনে ধুতি, জামা, কাঁধে কাপড়ের ব্যাগ৷ পুরো ক্লাস করলে ট্রেন মিস হবে, পরের ট্রেন একঘণ্টা বাদে, সুতরাং…৷ অনার্সের ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটু কঠিন, কারণ পড়ুয়া কম৷ ‘ট্রেন আছে স্যার’ বললে কোনো শিক্ষক ছেড়ে দিতেন, কেউ ধমকে বসিয়ে দিতেন৷ সেক্ষেত্রে ক্লাসে ঢোকা নেই৷ এরা নিম্নমেধার ছিল, এমনটা বলছি না৷ যেকোনো কারণেই হোক, মনোযোগী ছাত্র হতে পারেনি৷ আধখানা ছাত্র দিয়ে গোটা শিক্ষক মেলে কি?
♦—♦♦—♦♦—♦♦—♦
ক্রমশ…
আগের পর্ব পড়ুন: পর্ব ৭
❤ Support Us