Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩

গার্লস স্কুল এবং হস্টেলগুলিতে সিসিটিভি, সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
গার্লস স্কুল এবং হস্টেলগুলিতে সিসিটিভি, সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরের

রাজ্যের সমস্ত গার্লস স্কুল ও গার্লস হস্টেলে শিক্ষা দফতর সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে গত ৯ অগস্ট ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরেই র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে এসেছে। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে সিসিটিভি বসানোর দাবি তুলেছিল নাগরিক মহল। এরই মধ্যে এবার রাজ্যের সমস্ত গার্লস স্কুল এবং গার্লস হস্টেলগুলিতে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। যাদবপুরের মতো কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে কোনও গার্লস স্কুলে ও গার্লস হস্টেলে না ঘটে সে কথা মাথায় রেখে মূলত পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ছেলেদের স্কুলে এবং হস্টেলে কেন সিসিটিভি বসানোর বিষয়ে শিক্ষা দফতর চিন্তাভাবনা করছে না সেট বড় প্রশ্ন! কেননা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ যে সমস্ত জায়গায় র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ শোনা গেছে তার সবগুলিই ছেলেদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। তাই শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে পাশাপাশি ছেলেদের স্কুল এবং হস্টেলেও সিসিটিভি বসানোর দাবি জানাচ্ছে শিক্ষকদের একটা বড় অংশ।

শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গার্লস স্কুল এবং গার্লস হস্টেলে সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ১৫৯ টি স্কুলে সিসিটিভি বসেছে। এছাড়া ১৫১ টি হস্টেলে সিসিটিভি বসানো হবে। এর জন্য সময় নির্ধারণও করা হয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই সিসিটিভি বসানো হবে। সবমিলিয়ে রাজ্যের ১২০০ টি গার্লস স্কুলে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। সিসিটিভি লাগানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়েবেলকে।

উল্লেখ্য, গত মে মাসেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ১৫৯টি সরকার পোষিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত মেয়েদের স্কুল এবং ১৫১টি হস্টেলে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত তা কার্যকর করতে করতে চাইছে শিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে, প্রায় ধাপে ধাপে প্রায় ১২০০ মেয়েদের স্কুলে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।  প্রতিটি জেলায় কোন কোন গার্লস স্কুল ও হস্টেলে সিসিটিভি বসানো হবে তার জন্য ইতিমধ্যে জেলা শাসকদের কাছ থেকে তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা দফতর। সেই মতো তালিকাও প্রস্তুত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই সমস্ত স্কুলগুলিতে এবং গার্লস হস্টেলগুলিতে সিসিটিভি বসানো হবে।

প্রসঙ্গত, যাদবপুরে ছাত্রের মৃত্যুর পরে সেখানে সিসিটিভি বসানোর দাবি উঠেছিল। সেই মর্মেই যাদবপুরে সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে শিক্ষা দফতর। তাছাড়া সম্প্রতি কলকাতার একটি হোমে নাবালিকাদের ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। সদ্য ঘটে যাওয়া এই সমস্ত বিষয়ের গুরুত্ব বুঝেই গার্লস  স্কুল এবং গার্লস হস্টেলগুলিতে দ্রুত সিসিটিভি বসাতে চাইছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার চাইছে না ছাত্রীদের নিরাপত্তায় স্কুলে বা হস্টেলে কোনও রকম ত্রুটি রাখতে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!