Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ১৯, ২০২৩

কামদুনি কাণ্ডে দোষীদের মুক্তি প্রসঙ্গে সুপ্রিম নির্দেশ।আরোপ একাধিক শর্ত

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কামদুনি কাণ্ডে দোষীদের মুক্তি প্রসঙ্গে সুপ্রিম নির্দেশ।আরোপ একাধিক শর্ত

বিচারের আশায় কামদুনি কাণ্ডের দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন কামদুনির ধর্ষিতা ও খুন হয়ে যাওয়া ছাত্রীর বান্ধবী টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়াল, কামদুনির প্রীতিবাদী শিক্ষক প্রদীপ কুমার মুখোপাধ্যায় ও নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। তাদের দাবি , কলকাতা হাই কোর্টের রায় তাদের সঠিক মনে হয়নি। তাই তাঁরা উই ওয়ান্ট জাস্টিস লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে যন্তরমন্তরে অবস্থানে বসেছিলেন। দেখা করেছিলেন নির্ভয়ার মায়ের সঙ্গে।

বৃহস্পতিবার কামদুনি মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত যে চার অভিযুক্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মুক্তি পেয়েছে, তাদের মুক্তির উপর শর্ত আরোপ করল শীর্ষ আদালত। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, এই মামলায় অভিযুক্তরা রাজারহাট থানা এলাকার বাইরে যেতে পারবে না। যদি যেতেই হয়, তাহলে রাজারহাট থানার ওসির কাছ থেকে লিখিতভাবে অনুমতি নিতে হবে। আবেদনকারী লিখিতভাবে আইটিনারি জমা দেবে যেখানে পরিষ্কার করে জানাতে হবে তারা কোথায় যেতে চায় এবং কেন যেতে চায়। এছাড়া প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবার তাদের হাজিরা দিতে হবে রাজারহাট থানায়। পাসপোর্টও জমা রাখতে হবে থানায়। কোনও কারণে ঠিকানা বদল করলে সে কথাও জানাতে হবে পুলিশকে। এছাড়া যে মোবাইল নম্বর তারা ব্যবহার করে তা লিখিতভাবে দিয়ে রাখতে হবে থানায়। এই সমস্ত শর্ত মানলেই তবে তারা ‘মুক্তি’ পাবে, জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

গত ২০১৩ সালের ৭ জুন কামদুনিতে ডিরোজিও কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার  ১০ বছর পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ মূল অভিযুক্ত আনসার আলি ও সইফুল আলির মৃত্যুদণ্ড রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। আর ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পায়। এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়াল গভীর হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তীব্র ক্ষোভ ছড়ায় কামদুনি এলাকাতেও। কামদুনি ও কলকাতার রাজপথে দোষীদের উপযুক্ত সাজা চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের পরে মিছিল হয়। রাজ্য সরকারের তরফেও এই রায়ের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা জানায়।সেইমতো স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল হয়। এদিন সেই প্রেক্ষিতেই জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!