ইজরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হামাসের শীর্ষ নেতা মারওয়ান ইসা

ইজরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের অন্যতম শীর্ষ সামরিক নেতা মারওয়ান ইসা। এমনই জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। গতবছর ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের ওপর  ইজরায়েলের হামলার পর হামাসদের যে সব নেতা নিহত হয়েছেন, মারওয়ান ইসা সবথেকে বয়ঃজ্যেষ্ঠ। হোয়াইট হাইসের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও হামাসদের পক্ষ থেকে এখনও মারওয়ান ইসার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।

জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘‌হামাসের অনেক নেতা গাজার টানেল নেটওয়ার্কের গভীরে লুকিয়ে রয়েছে। হামাসের শীর্ষ নেতাদের খুঁজে বার করতে ইজরায়েলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের শীর্ষ নেতারা বন্দী হলে তারা ন্যায় বিচারও পাবে।’‌ তবে সুলিভানের মুখে ইজরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথাও শোনা গেছে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের ওপর ইজরায়েলের আগ্রাসন আরও অনেক নিরাপরাধ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে। এখনই ফিলিস্তিনে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় হামলা পরিস্থিতি আরও খারাপ করবে। ইজরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে।’‌ ‌

গত সপ্তাহে মধ্য গাজার নুসেইত শরনার্থী শিবিরের নিচে একটা টানেল কমপ্লেক্স লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েলি বাহিনী। ওই বিমান হামলায় নাকি মারওয়ান ইসার মৃত্যু হয়েছে। এমনই দাবি করেছে ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম। ফিলিস্তিনের ওপর ইজরায়েলের হামলা নিয়ে সোমবার ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টোলিফোনে কথা বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইজরায়েলের হামলায় বহু বেসামরিক মানুষ মারা যাওয়ায় বাইডেন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন নেতানিয়াহুকে। দুজনের কথাপোকথনের পরই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে মারওয়ান ইসার নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়।

মারওয়ান ইসা ছিলেন হামাসের সামরিক শাখা ইজেদিন আল–কাসাম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার। গতবছর ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামলার জন্য তাঁকেই অভিযুক্ত করা হয়। সেই হামলায় প্রায় ১২০০ ইজরায়েলি মারা যান। সেই হামলার পর থেকেই ইজরায়েলের কাছে তিনি ছিলেন মোস্ট ওয়ান্টেড। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনেক আগেই এই হামাসের এই শীর্ষ নেতাকে কালো তালিকাভূক্ত করেছিল। একসময় ৫ বছর ইজরায়েলের জেলে বন্দী ছিলেন মারওয়ান ইসা।